Road Accident: গ্রিন করিডর করেও প্রাণ বাঁচানো গেল না কিশোরের – bhangar youth lost life in a road accident


এই সময়, ভাঙড়: মাঝে চার দিনের ব্যবধান। পথ দুর্ঘটনায় আরও একটি প্রাণ গেল ভাঙড়ে। উল্লেখ্য, ভাঙড় ডিভিশনে এক সপ্তাহে এই নিয়ে চার জনের মৃত্যু হলো পথ দুর্ঘটনায়। এ বার বাইক ও ভ্যানোর সংঘর্ষে মারা গেল এক কিশোর। গ্রিন করিডর করে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো গেল না ওই কিশোরকে। মৃতের নাম জাহিদুল মোল্লা (১৬)। বাড়ি ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি গ্রামে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।পুলিশ সূত্রে খবর, জাহিদুল পিঠাপুকুর এলাকায় একটি বাইকের গ্যারাজে মেকানিকের কাজ করত। রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাইকের কিছু পার্টস কিনতে সে পাকাপোল বাজারে গিয়েছিল। ফেরার সময় বেশ দ্রুত গতিতেই বাইকে আসছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি ভ্যানোও বেপরোয়া গতিতে আসছিল। অভিযোগ, ওই ভ্যানোর কোনও হেডলাইট ছিল না। গুছুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভ্যানোকে জায়গা দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ওই কিশোর।

পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর চোট পায়। কানের পাশ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। জাহিদুলের ডান পায়ের হাঁটু ও গোড়ালিতেও চোট লাগে। স্থানীয়রা দ্রুত জাহিদুলকে উদ্ধার করে জিরেনগাছা হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলেন। এরপর ট্র্যাফিক পুলিশের সহযোগিতায় গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নিউ টাউনের রাস্তায় মারা যায় ওই কিশোর। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের মাথায় হেলমেট ছিল না, ছিল না বাইক চালানোর লাইসেন্সও।

উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গুছুড়িয়া থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে উত্তর কাশীপুর থানার জয়পুর গ্রামে বাইক ও পিক আপ ভ্যানের সংঘর্ষে মারা যান বটকৃষ্ণ কর্মকার (৬০) নামে এক বাইক আরোহী। পরের দিন বাগজোলা খালপাড়ের রাস্তায় জামিরগাছিতে ডাম্পার ও বাইকের ধাক্কায় মারা যান বৌদি সেরিনা বিবি (২২) ও ননদ নাজিমা খাতুন (২০) নামে একই পরিবারের দু’জন।

স্থানীয়দের একাংশের মতে ভাঙড়ের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত হলেও দুর্ঘটনার বহর কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না। এক সপ্তাহে পথ দুর্ঘটনায় ভাঙড়ের চার বাসিন্দার মৃত্যু যেন তারই প্রমাণ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *