এই সময়: বিপর্যয় মোকাবিলা এবং সুন্দরবনের উন্নয়নের লক্ষ্যে মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ চলছে। তা শেষ হলেই রাজ্য সরকার ওই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করার বিষয়ে উদ্যোগী হবে। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সুন্দরবন সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে এই কথা জানান রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অসামরিক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাভেদ খান।তিনি বলেন, ‘দুর্যোগের সময়ে সুন্দরবনের মানুষ যাতে সরাসরি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, সে জন্যে ওই এলাকায় বিডিওদের নেতৃত্বে যে দুর্যোগ-মোকাবিলা দল গঠন করা হবে, সেই দলকে একটি করে স্যাটেলাইট ফোন দেওয়া হবে।’ সুন্দরবনে স্কুল-কেন্দ্রিক উন্নত অস্থায়ী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে।
প্রথম কুমিরখালি দ্বীপে হবে এই ধরনের কেন্দ্র। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এনভায়রনমেন্ট গভর্নড ইন্টিগ্রেটেড অর্গানাইজেশন এই কাজ করবে। তাদের সহায়তা করছে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে আয়োজক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সুন্দরবনে ১০০টির বেশি দ্বীপ রয়েছে।
প্রথম কুমিরখালি দ্বীপে হবে এই ধরনের কেন্দ্র। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এনভায়রনমেন্ট গভর্নড ইন্টিগ্রেটেড অর্গানাইজেশন এই কাজ করবে। তাদের সহায়তা করছে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে আয়োজক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সুন্দরবনে ১০০টির বেশি দ্বীপ রয়েছে।
সব মিলিয়ে ৫০ লক্ষ মানুষ বসবাস করেন। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবন বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু-বিপন্ন এলাকা। রাষ্ট্রসঙ্ঘ বলছে, এই দুর্যোগ আরও বাড়তে পারে। তার আভাসও মিলছে। গত কয়েক বছরে পর পর আয়লা, উম্পুন, ইয়াস, বুলবুলের মতো একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের দ্বীপগুলি।
সুন্দরবন এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হটস্পট। দুর্যোগের সময়ে এই সব দ্বীপের অসহায় মানুষ স্কুলবাড়িতেই আশ্রয় নেন। তাই স্কুলবাড়ি ঘিরেই দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা। কুমিরখালির একটি দ্বীপ দিয়ে শুরু হলেও ধীরে-ধীরে প্রতিটি দ্বীপেই এই কাজ হবে।