এর আগে গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সদ্য রাজনীতিতে পা রাখতে যাওয়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকৃত রাজনীতিক হিসেবে মনে করি।’ যদিও, বিচারপতি থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার ‘মানবিক মুখ্যমন্ত্রী’ বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। যদিও, বিচারপতি আসন ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশের পরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে চূড়ান্ত আক্রমণ করেছেন তিনি। তবে তাঁর রাজনীতিতে যোগদানের পর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিচারপতি পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উনি ( অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) নিজেই মুখ ফস্কে জানিয়ে দিয়েছেন, উনি বিচারপতি থাকাকালীন বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সেই বিষয় নিয়েই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে, রাজ্যের অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এতদিন পক্ষপাতদুষ্ট রায় দিয়েছেন। রাজনীতির ময়দানে আসতেই স্ববিরোধিতার বেআব্রু হয়ে গেল।’ প্রসঙ্গত, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়টি সময়ের অপেক্ষা। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আগামীকাল বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ রাজ্য বিজেপির দফতরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন তিনি। তবে তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন। তবে কোন কেন্দ্র থেকে তিনি দাঁড়াবেন সেই ব্যাপারে এখনও কোনও পরিষ্কার চিত্র সামনে আসেনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে তাঁকে লোকসভার টিকিট দেবে বিজেপি, এটা অনেকটা নিশ্চিত।