সেই দিন তাপস বলেন, ‘এত দুর্নীতি ও সন্দেশখালি আমাকে তাড়না দিচ্ছে, এই প্রথম বাজেট অধিবেশন ঠিক মতো করে করলাম না। ২৩ থেকে ২৪ বছর তৃণমূলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। ১২ জানুয়ারি আমার বাড়িতে একটি ঘটনা ঘটে যায়। যদিও আসল বিষয় দুর্নীতি ও সন্দেশখালি। ৫২ দিন পাশে দাঁড়ায়নি, এমনকী কেউ ফোন করে আমার পরিরবারের কাউকে সমবেদনাও জানায়নি। আমি আহত ও অঘাতপ্রাপ্ত।’ এরপরে বিধানসভায় গিয়ে বিযাক পদে ইস্তফা দেন তিনি। ছাড়েন তৃণমূলও। যদিও বিধবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটির কারণে তাপসের সেই পদত্যাগ গৃহিত হয়নি। তাঁকে নতুন করে বৃহস্পতিবার ইস্তফাপত্র পেশ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার তাপস রায় বলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। আজকের পর আমিও যোগাযোগ করব। হ্যাঁ, আমার সঙ্গে অমিত মালব্য যোগাযোগ করেছিলেন, মঙ্গল পান্ডে যোগাযোগ করেছিলেন। আমার সঙ্গে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী একটু আগেই ফোনে কথা বলেছেন।’ যদিও এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তাপস রায়ের দলত্যাগ দুর্ভাগ্যজনক, তাপস রায়ের দলবদল আরও দুর্ভাগ্যজনক। তাপসদা সিনিয়র নেতা। ব্রাত্য বসু ও আমি বোঝাতে গিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম, যদি ইস্তফাই দেন, তাহলেও অন্য দলে যেন যোগ না দেন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তাপস রায়। আর পরে যখন তাপস রায় বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বলে কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে, তখন পাশাপাশি এই জল্পনাও উঠতে থাকে যে এবার হয়ত উত্তর কলকাতায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন তাপস রায়। সেক্ষেত্রে এখন দেখার সত্যিই তাঁকে উত্তর কলকাতার প্রার্থী করে কি না বিজেপি।