তিনি বলেন, ‘পাহাড়ের অনেক মানুষ শিলিগুড়িতে এসে টাকা দিয়ে হোটেলে থাকতে পারেন না। যেই কারণে এখানে ভবন তৈরির কথা বলা হয়েছিল। চিকিৎসা, পড়াশোনার জন্য অনেক মানুষ পাহাড় থেকে শিলিগুড়িতে আসেন। প্রায় ১৪ কোটি টাকা খরচে নতুন ভবনটি তৈরি হবে।’
এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে , প্রথম পর্যায়ে কাজের জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিটিএর ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ চৌহান, গোপাল লামারা। স্বাভাবিকভাবেই এই শ্রমিক ভবনের ঘোষণা করা হলে অনেকেই উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এই কাজ কবে শেষ হবে? তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। জিটিএ নির্বাচনের সময় এই ভবনটি তৈরির কথা বলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে ওঠে। বিভিন্ন অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ হয়। এরপরেই তার প্রেক্ষিতে প্রাথমিক দফায় ডিপিআর তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে টাকা অনুমোদন পায়।
অন্যদিকে, তৃণমূলের সঙ্গে বিজিপিএম জোট থাকলেও এখনও প্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি। তবে পাহাড়ের আগের অবস্থার সঙ্গে এখনকার অবস্থার অনেক বদল রয়েছে বলে জানান তিনি। অনীত থাপা বলেন, ‘বিজিপিএমের সঙ্গে এখন ৯০ শতাংশ পাহাড়ের মানুষ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন গোর্খাদের স্বপ্ন, তাঁর স্বপ্ন। তিনি ঠিকই বলেছিলেন। কারণ তিনি ‘স্বপ্ন’ বলেছিলেন। যা পূরণ হবেনা। আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয়েছে।’ তিনি এদিন বলেন, ‘এটা অত্যন্ত বড় সাফল্য। কয়েক বছর লাগবে তা তৈরি হতে। অনেকে পড়ার জন্য , ইন্টারভিউয়ের জন্য আসে। তাদের সাহায্য হয়।’