বিচারপতি দেবাংশু বসাক স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান, সিবিআই আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, ওএমআর প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘নাইসা’ ডাটা স্ক্যানটেক নামে এক সংস্থাকে দিয়েছিল নাইসার সমস্ত ডাটা স্ক্যান করতে। এই তথ্য কি স্কুল সার্ভিস কমিশন জানে? স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, সেটা তাঁদের জানা নেই। ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, ‘সিবিআই এক মাস আগে হলফনামা দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে অথচ আপনরা এটা পড়ে দেখার সময় পর্যন্ত পাননি?’
চেয়ারম্যান জানান, সোমবার তিনি এই বিষয়ে দেখে আদালতকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন। এর আগে এদিন সকালে স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রতিদিন সময় চাইছে আদালতে উত্তর দেওয়ার জন্য বলে ক্ষুব্ধ বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র আদালতকে সহযোগিতা করতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন। বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, ‘প্রতিদিন সময় চাইছেন। কত দিন চলতে পারে এটা?’ গত মঙ্গলবার থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হচ্ছে নাইসার ব্যাপারে। কিন্তু তার উত্তর দিতে পারছেন না আপনি। আপনি তার মানে আদালতকে সহযোগিতা করতে পারছেন না।
তারপরই আইনজীবী সুতনু পাত্র এই মামলা থেকে অব্যাহতি চান। বিচারপতি বসাক তাঁকে অব্যাহতি দিয়েদেন। একইসঙ্গে বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ বেলা ১২.৩০ তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকদের আদালতে তলব করেন। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করতে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টে তৈরি হয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শাব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সেই বেঞ্চে দিনের পর দিন স্কুল সার্ভিস কমিশন নানা তথ্য আদালতে চাহিদা মতো দিতে পারছে না বলে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট।