ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট পড়তে তাকে। একদিনে এই দোকানের দইবড়া খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কমপক্ষে ১২০ জন৷ এমনকী, দইবড়া খেয়ে অসুস্থ খোদ বোলপুরের ফুড সেফটি অফিসার সঞ্জুয়ারা খাতুন৷ তিনিও তিন দিন ধরে চিকিৎসাধীন। এ দিন, ক্ষুব্ধ বোলপুরবাসী ওই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শাটার নামিয়ে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়৷
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘমিত্রা ঘোষ, কৃষ্ণেন্দু হাজরা বলেন, ‘তিনদিন ধরে এত মানুষ অসুস্থ, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন, তাও মিষ্টির দোকানের মালিকের কোনও হেলদোল নেই৷ তাই আমরা এসেছি আজ৷ এত মানুষের দায় কে নেবে? ফুড সেফটি কোথায় শহরে?
দইবড়ায় ফুড পয়জনের কথা স্বীকার করে নেন মিষ্টির দোকানের মালিক শ্যামল মণ্ডল।
তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমা চাইছি, সবার কাছে৷ আমাদের ভুলেই এমন ঘটনা ঘটেছে৷ তবে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যারা অসুস্থ তাদের ক্ষতিপূরণ দেব। এর পিছনে প্রতিষ্ঠানের কোনও কর্মীর অন্তর্ঘাত বা ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, বুঝতে পারছি না। তা জানতে সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বোলপুরের একাধিক খাবারের দোকানদারের দাবি, ‘গুণগত মান বজায় রেখে খাবার বিক্রি করি। কিন্তু দু’বছর ধরে ব্যবসা করলেও কখনও খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অভিযান হতে দেখিনি।’ যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন ফুড সেফটি অফিসার সঞ্জুয়ারা খাতুন। তিনি বলেন, ‘রাস্তার দোকানে মাঝেমাঝেই অভিযান চালানো হয়। দইবড়া খেয়ে অসুস্থ হওয়া নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’