International women’s day : স্বামীর কাছে কাজ শিখে এখন জোড়া মিষ্টির দোকানের মালিক, শর্মিলা আজ অনেকেরই প্রেরণা – international womens day east midnapore kolaghat housewife become a successful businessman


কথায় আছে, ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে।’ আর অনেক সময়েই দেখা যায় এমন উদাহরণ। ঠিক যমনটা কোলাঘাটের শর্মিলা প্রামাণিক। একহাতে সংসার সামলানোর পাশাপাশি মিষ্টি তৈরি শিখে বর্তমানে সফল মিষ্টান্ন বিক্রেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। এমনকী এই সফলতার জন্য বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় শো-তেও ডাক পেয়েছেন শর্মিলা। সেখানে সমস্ত প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থানও অর্জন করেন শর্মিলা। বর্তমানে সংসার সামলানোর পাশাপাশি, মিষ্টির দোকান সামলানো, সবেতেই সিদ্ধহস্ত তিনি। কোলাঘাটের এই মহিলার সফলতার কাহিনি এখন রাজ্যজুড়ে বহু মহিলাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলছে। স্বামীর কাছ থেকে মিষ্টি তৈরি শিখে, সফল ব্যবসায়ী হিসাবে নজির সৃষ্টি করেছেন এই নারী।বর্তমান সময়ে প্রায় সমস্ত কাজেই পুরুষদের সঙ্গে নারীরা সমান পাল্লা দিয়ে চলছেন। কর্পোরেট জগৎ থেকে উচ্চপদস্থ অফিসার, এমনকী আকাশে উড়তেও পিছিয়ে নেই মহিলারা। তবুও এমনকিছু কাজ রয়েছে যা সাধারণত পুরুষদেরই করতে দেখা যায়। যেমন মিষ্টি তৈরি। সাধারণত মিষ্টির কারিগর হিসাবেই সর্বত্র পুরুষদেরই দেখা যায়। মিষ্টির দোকানে মহিলা কারিগর নেই বললেই চলে। কিন্তু সেই মিথ এবার ভেঙে দিয়েছেন কোলাঘাটের মহিলা শর্মিলা প্রামাণিক।

সংসারের সমস্ত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বর্তমানে সফল মিষ্টি বিক্রেতা শর্মিলা। মাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা হয়নি। বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর ঘরে এসে দেখেন অভাব সেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী। তাই সংসার চালাতে স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বামী অন্যের মিষ্টি দোকানের কারিগর। তাই একদিন মাথায় আসে তিনিও মিষ্টি তৈরি করা শিখবেন। সম্পূর্ণ নিজের জেদে রসগোল্লা থেকে পান্তুয়া, সব ধরনের মিষ্টি তৈরি করা শিখে নেন শর্মিলা। ছোটখাটো একটি দোকানও খোলেন। সেই ছোট্ট দোকান থেকেই পথ চলতে চলতে এখন দু’টি মিষ্টির দোকান তাঁর। সময় যত গড়াচ্ছে, দোকানের বহর ততই বাড়ছে।

এই বিষয়ে শর্মিলা প্রামাণিক বলেন, ‘প্রতিদিন সংসারের কাজ সামলানোর পাশাপাশি দোকানে এসে মিষ্টি তৈরি করা ও মিষ্টি বিক্রি করায় হাত লাগাতাম। এর পাশাপাশি দুই মেদিনীপুর ও হাওড়াজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। বাংলার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-এ প্রথম হতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে।’ সবচেয়ে বড় কথা অদম্য মনের জোর দিয়ে লড়াই করে শুধু নিজেকেই প্রতিষ্ঠিত করেননি, আরও নারীদের অনুপ্রেরণাও হয়ে উঠেছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *