গত ১ মার্চ থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকতে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ৩৭ টি স্কুলে বাহিনী রয়েছে। এছাড়া কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও বাহিনীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা নিয়ে শিক্ষক, ছাত্র, গবেষকরা ইতিমধ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই টহলদারি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশ, ‘ওঁদের দেখবেন, কিন্তু ফিরেও তাকাবেন না, আর ভয় পাবেন না। যদি জিজ্ঞেস করে, কিসকো ভোট দেনা হ্যায়? বলবেন, আপকো। ভোট আপনার নিজের, এটা মাথায় রাখবেন।’
একই সঙ্গে ইভিএম নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূলনেত্রী এ দিন বলেন, ‘ভালো করে ইভিএম মেশিন চেক করবেন। প্ল্যান অনুযায়ী কুড়িটা জায়গায় না কি চিপ লাগাচ্ছে। যাঁরা এজেন্ট হবে তাঁদের কাউকে কাউকে টাকা দিয়ে কিনেও নেবে। নজর রাখবেন ভালো করে।’
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছে, এই অভিযোগ তোলা হয়েছিল জোড়াফুল শিবির থেকে। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে মমতা প্রশ্ন তোলায় বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ভাবে ভোট লুঠ করা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে তা করা যাবে না বুঝেই এখন থেকে তৃণমূল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। যদি ওঁদের নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তা হলে নির্বাচন কমিশনে তা জানাক।’
কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি ছাড়াও বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও এ দিন সরব হয়েছেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন, ‘গতকাল (বুধবার) বাংলাদেশ থেকে আমাদের পুলিশকে অভিযোগ করেছে। এটা খারাপ উদাহরণ নয়? ইস্কনের এক শিক্ষিত পুরোহিত বাংলাদেশি ছিলেন, তাঁকে বিএসএফ অত্যাচার করে মেরে দিয়েছে। এবার বাংলাদেশ থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে যে, তোমাদের ওখানে আমাদের লোককে খুন করা হয়েছে।
বিএসএফ যদি অন্য দেশের নাগরিককে খুন করে, তাঁর গ্রেপ্তারি হয় না কেন? যদি মনে হয় বাংলাদেশি, তা হলে মামলা করতে, আইনে যা করার করতে, কাউকে খুন করার অধিকার তোমার নেই।’ তবে কোন জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে তা এ দিন তৃণমূলনেত্রী খোলসা করেননি।