পাশাপাশি বনগাঁ কেন্দ্রে পুনরায় প্রার্থী হওয়ায় শুভেচ্ছা জানানো হয় তাঁকে। এ দিন সাংবাদিকদের শান্তনু বলেন, ‘সিএএ লাগু হবেই। ভোটের একদিন আগে হলেও হবে। তার জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ।’ শান্তনুর এই বক্তব্যকে অবশ্য কটাক্ষ করেছেন রাজ্যসভার সংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘এর আগেও সাত দিনের মধ্যে সিএএ কার্যকরীর কথা বলেছিলেন। আসলে ভোটের মুখে সিএএ নিয়ে মতুয়াদের ভাঁওতা দিচ্ছে শান্তনু ঠাকুর এবং বিজেপি। মতুয়ারা চায় নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। তা না হলে এ বারের ভোটে বিজেপিকে জবাব দেবে মতুয়ারা।’
তবে ভোটের আগে মতুয়া মন জয় করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। ভোটের আগেই নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন যে লাগু করা হবে, সে ব্যাপারে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। নির্দিষ্ট ডেটলাইন দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও আশ্বাস দিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই আইন দেশ জুড়ে লাগু করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
অন্যদিকে, CAA যে ভোটের আগেই চালু করা হবে, সে ব্যাপারে একাধিকবার নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। দিনক্ষণ না বললেও শীঘ্রই CAA চালু হওয়ার সম্ভাবনা একেরবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন এবং এনআরসির চূড়ান্ত বিরোধিতা করা হবে বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আইন বাংলায় চালু হতে দেওয়া হবে না বলে একাধিক রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি একাধিক জেলায় আধার বাতিল হওয়ার বিষয়টিও এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।