প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেও শেখ শাহজাহানের বাড়ি এবং আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায় সিবিআই অধিকারিরকরা। শুক্রবার সকালে আরও বড় টিম নিয়ে শাহজাহানের দুয়ারে হাজির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এদিনও চারপাশের এলাকা ঘুরে দেখা হচ্ছে। পাশাপশি, তালা খুলে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকেও তল্লাশি চালাচ্ছে তাঁরা। এলাকা থেকে ফরেন্সিক টিম নমুনা সংগ্রহ করছে। বিভিন্ন জায়গার ছবি তুলে নিচ্ছেন ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
গত ৫ জানুয়ারি ইডির একাধিক আধিকারিক সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন। একাধিক ইডি আধিকারিরা শারীরিক নিগৃহীত হন। তারপর থেকেই ফেরার ছিল শেখ শাহজাহান। সেই আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। শাহজাহানের বাড়ির সামনে আকুঞ্জীপাড়া এলাকায় রাস্তায় মাপজোক, ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
গত বুধবার শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। দীর্ঘ টালবাহানা পর সেদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সন্দেশখালির ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে। এরপরেই ইডি আধিকারিকদের হামলার ঘটনায় তদন্তে গতি বাড়ায় সিবিআই। গতকালই তাঁদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। পরপর দুদিন শেখ শাহজাহানের বাড়ি এবং তাঁর আশপাশ থেকে প্রমাণ সংগ্রহে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেদিনই ইডি আধিকারিকদের ঘিরে ধরে কিছু স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়। একাধিক অফিসার আহত হন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ নথি লোপাটের চেষ্টা হয়।