খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ, দমকল কর্মীরা হিমঘরে পৌঁছন। অবস্থা সামাল দিতে নামানো হয় এনডিআরএফ টিমকে। অসুস্থ ওই কর্মীদের উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মালতি রায় বলেন, ‘গন্ধ এতটাই উগ্র যে সকালে বাড়ি থেকে আমরা সবাই পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিই। পাঁচ বছর আগেও একবার এই ঘটনা ঘটেছিল।’
আর এক বাসিন্দা কমল রায় বলেন, ‘এক জনের মৃত্যু এবং তিন জন অসুস্থ হওয়ায় ছেলেমেয়েদের আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’ এনডিআরএফের ডেপুটি কমান্ডেন্ট বিবেক কুমার বলেন, ‘যে জায়গা দিয়ে গ্যাস লিক করছিল সেই জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাধারন মানুষকে হিমঘর থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
এ দিন দুপুরে হিমঘরের দু’শো মিটারের মধ্যে সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। স্বাস্থ্যকর্মীরা হিমঘর সংলগ্ন এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ অসুস্থ রয়েছেন কিনা খোঁজখবর নেন। সদর মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘আপাতত হিমঘরটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কী কারণে দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।’
শনিবার সকাল আটটা নাগাদ হিমঘরের বাতানুকূল যন্ত্রের চারপাশে থার্মোকল লাগানোর কাজ করছিলেন ৪ জন শ্রমিক। কুতুবউদ্দিন শেখ (৩৮) নামে এক কর্মীর অসাবধানতায় গ্যাস পাইপের একটা অংশ খুলে যায় বলে অভিযোগ। সেখান থেকে বের হতে থাকে অ্যামোনিয়া গ্যাস। গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন কুতুবউদ্দিন, মিরাজ শেখ ও মুসকান শেখ।
হিমঘরের ভেতরে ঢুকে তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জয়দেব মাহাতো নামে এক দমকল কর্মী। চারজনকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে কুতুবউদ্দিনের মৃত্যু হয়।