তৃণমূলে নাম লিখিয়েই মুকুটমণি রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। সূত্রের খবর, রানাঘাটে মুকুটমণির ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা-কর্মীরা শুক্রবার থেকেই জগন্নাথের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশের ব্যাখ্যা, এরকম ঘটনা যে ঘটতে পারে, সেটা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বেরই আঁচ করা উচিত ছিল। এবং সেইমতো বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ প্রশমিত করার উদ্যোগ নেওয়ার দরকার ছিল।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা কোনও রাখঢাক না করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিজেপির নতুন প্রার্থী মনোজকে বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেন না। তাঁর অনুগামীরা ইতিমধ্যেই ‘নো ভোট টু মনোজ টিগ্গা’ ডাক দিয়েছেন। আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন জায়গায় বারলাকে বিজেপি প্রার্থী করার দাবিতে পোস্টার পড়েছে। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গের বিজেপি প্রভাবিত সংগঠন ‘ভারতীয় টি ওয়ার্কাস ইউনিয়ন’-এর নেতা-কর্মীরাও শুক্রবার থেকে মনোজের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। যদিও মনোজের দাবি, বিটিডব্লিউইউ-এর নব্বই শতাংশ সদস্য তাঁর সঙ্গেই আছেন। দার্জিলিং কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না-করা হলেও সিটিং এমপি রাজু বিস্তাকে সরিয়ে প্রাক্তন আমলা হর্ষবর্ধন স্রিংলাকে দাঁড় করানো হতে পারে, এই আঁচ পেয়ে টানাপড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে দলের অন্দরে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, বঙ্গ-বিজেপি নেতাদের একাংশের গা-ছাড়া মনোভাবের জন্যই টিকিট সংক্রান্ত ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশ্যে আসছে। তাই দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার আগে সতর্ক থাকতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঘটনাগুলি কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। তবে আমাদের লক্ষ্য বিকশিত ভারত, শক্তিশালী অর্থনীতি। নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে সেই পথে আমরা অনেকটা এগিয়ে যাব। যাঁরা বিরোধীদের হাত শক্ত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের কেউ মনে রাখবে না।’