রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রথম থেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না নদিয়া দক্ষিণের বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ। একের পর এক সভায় সেরকম ভাবে কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিও দেখা যাচ্ছিল না। পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে নদিয়া দক্ষিণের বিজেপির জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিজেপিতে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। কিন্তু তার অন্য চিত্র ধরা পরল নদিয়ার কালিনারায়ণপুরে।
‘দুর্নীতিগ্রস্ত, চরিত্রহীন, জগা হাঁটাও নদিয়া বাঁচাও’ এরকমই কথা লিখে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। ‘অযোগ্য অপদার্থ জগা কে মানছি না মানবো না।’ লেখা হয়েছে সেই পোস্টারে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা জানান না গেলেও পোস্টারের তলায় নামাঙ্কিত করা হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি নদিয়া দক্ষিণ। তবে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে জগন্নাথ সরকারকে প্রার্থী হিসেবে যখন বিজেপির নেতৃত্ব নাম ঘোষণা করে ,তারপর এই পোস্টার, ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানতর।
তবে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থী নিয়ে দলীয় গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি নেতৃত্বরা। তবে এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার জানাচ্ছেন, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে, তাই এরকম ঘৃণ্য জঘন্য কাজ করেছে। এর সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবেই যুক্ত নয়। দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
পালটা, তৃণমূল এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। তবে তৃণমূলের দাবি, জগন্নাথ সরকারকে নদিয়ার মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। তাই প্রকাশ্যে এমনটাই জানাচ্ছেন ট্যাংরা। এর সঙ্গে বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই জড়িত, তার কারণ তারা জগন্নাথ সরকারকে মানতে পারছেন না, এমনটাই দাবি তৃণমূলের। উল্লেখ্য, দুদিন আগেই রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। তাঁকে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করতে পারে, এরকম সম্ভাবনা ছড়িয়ে পড়েছে।