অন্যদিকে, এই কেন্দ্র থেকে মহম্মদ সেলিমকে প্রার্থী করা হতে পারে এরকম জল্পনাও শুরু হয়েছে। আবার অনেকেই বলছেন, থাকতে পারে আরও বড় চমক। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ আসনে সিপিএম প্রার্থী লড়ছে বলেই আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। আসন বন্টনের সময় এলে সেই দাবিই তুলব। কংগ্রেসের আপত্তি থাকবে না বলেই মনে করছি। বহরমপুর আসন কংগ্রেসের নিশ্চিত।’ বিষয়টি নিয়ে DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
এই কেন্দ্রটিতে প্রায় ৭৫ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসবাস। সেদিকটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাম শিবিরে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কেন্দ্রে একাধিক পঞ্চায়েতে ভালো ফল করেছে সিপিএম-কংগ্রেস জোট। এমনকি, রানিনগরে একটি পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করেছে তাঁরা। ডোমকল বিধানসভা সহ রানিনগর, ভগবানগোলা বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি করে পঞ্চায়েত দখল করেছে বাম-কং শিবির। সেই কথা মাথায় রেখেই এই কেন্দ্রটি নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বামেরা। গত কয়েকদিন যাবৎ ডোমকল বিধানসভা কেন্দ্রে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে বাম নেতৃত্ব। একের পর এক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ইসলামপুরের লোচনপুর, হরিহরপাড়া এলাকায়। কর্মসূচিতে মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সিপিএমের জনপ্রিয় নেতৃত্ব সভা, মিছিল করছেন। উল্লেখ্য, ডোমকলের তিনটি বিধানসভা মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। এই তিনটি বিধানসভার ফলাফল লোকসভার ফলের অন্যতম নির্ণায়ক।
পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী আবু হেনা। তিনি পেয়েছিলেন ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯২৯ ভোট। সিপিএম প্রার্থী বদরুদ্দোজা খান পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৯৩ ভোট। সেক্ষেত্রে এই কেন্দ্র কংগ্রেস ছেড়ে দিলে দুই শিবিরের জনসমর্থন একই বাক্সে পড়লে খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।