কথায় আছে থিয়েটার একটি চশমা। নাটকের এই চশমা দিয়ে একজন দৃষ্টিহীন অনেক দূর পর্যন্ত দেখতে পারে। নিজেদের জড়তা কাটিয়ে তারা সমাজে এগিয়ে চলার প্রেরনা পায়। নতুন দিশা খুঁজে পেয়ে দৃষ্টিহীন মহিলারা আত্মনির্ভর হয়ে ওঠে। সেইমত গত তিনমাস ধরে উলুবেড়িয়ার আনন্দ ভবন ডেফ এন্ড ব্লাইন্ড স্কুলের দৃষ্টিহীন ছাত্রীদের জন্য নাটকের কর্মশালার আয়োজন করা হল।
শুক্রবার ছিল এই কর্মশালার শেষ দিন। আর কর্মশালার শেষদিনেই স্কুলের অডিটরিয়ামে সকলের সামনে স্কুলের দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা সাবলীলভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’ নাটকটি সাবলীল ভাবে মঞ্চস্থ করে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, আনন্দ ভবন ডেফ এন্ড ব্লাইন্ড স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধা শিক্ষক অজয় দাস।
স্কুলের দৃষ্টিহীন ছাত্রীদের এই নাটকের কর্মশালা প্রসঙ্গে অজয় দাস জানান, নাটক দৃষ্টিহীন শিশুদের মদে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। সেই কারণে স্কুলে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, চিরাচরিত পড়াশোনার আঙিনা থেকে বেরিয়ে নতুন একটা জগতে প্রবেশ করে খুশি দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীরা। এই প্রথম নাটকে অভিনয়। তাও আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’ গল্পে। অভিনয় করে খুশী জবা সরকার ও সুমিত্রা কিস্কুরাও। তাঁদের বক্তব্য, ‘ভবিষতে সূযোগ পেলে আবার নাটকে অভিনয় করবেন।’ পাশাপাশি স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও নাটক করার ইচ্ছা প্রকাশ করে জবা ও সুমিত্রা। প্রসঙ্গত, আনন্দ ভবন ডেফ এন্ড ব্লাইন্ড স্কুল ছাড়াও কলকাতার ব্লাইন্ড স্কুলে এবং শিলিগুড়ি ব্লাইন্ড স্কুলেও এই ধরনের নাটকের কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল।
