‘দিদি বলেছেন তোমাকে আমার পাশে চাই। দিদি বলেছেন, আর কোনও কথা নেই।’
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
গুরুত্ব দিচ্ছেন না লকেট
যদিও প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবশ্য খুব একটা বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে লকেট বলেন, ‘এটা আসলে মোদীজির ভোট। লড়াইটা মোদী বনাম মমতা। এই লড়াইয়ে যতই লকেট বনাম রচনা করুক না কেন, কিছুই করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করেছেন মানুষ দেখেছে, আর মোদীজি কী করেছেন দেখেছে। মোদীজির সৈনিক হিসেবে আমরা কাজ করছি। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমি কাজ করেছি অনেক জায়গায়। আমার দু’জনে সহশিল্পী ছিলাম। আসল লড়াই মোদীজির নেতৃত্বে হচ্ছে।’ এককথায় বলতে গেলে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ফ্যাক্টর হবেন না বলেই মনে করছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
লকেটের বিরুদ্ধে একাংশের ক্ষোভ
যদিও রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, গত ৫ বছরে হুগলি লোকসভা এলাকায় লকেটটে বিশেষ দেখা যায়নি বলে, ভোটারদেরই একাংশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এমনকী সম্পর্তী হুগলির খন্যানে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টারও দেখা গিয়েছে। সেই পোস্টারে লেখা ছিল, ‘বিগত ৫ বছরে ইটাচুনা খন্যান অঞ্চলে একদিনও লকেট দিদির দেখা নাই… তাই এইবার এখানে বিজেপির ভোট নাই।’ অন্যদিকে নিজের জনপ্রিয় শোয়ের মাধ্যমে কার্যত মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন রচনা। সেক্ষেত্রে লকেট রচনাকে বিশেষ গুরুত না দিলেও, হুগলিতে তাঁর লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না, তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার ‘দিদি নং ১’ রচনা হুগলিতেও এক নম্বরেই থাকতে পারেন কি না।