রেল ও রাজ্যের মধ্যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শহরের বর্জ্য ও দূষিত জলকে পরিশোধিত করে তার পরে তা ফেলা হবে ঝিলে। যেহেতু এখানকার জমি রেলের, তাই ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির জন্য রাজ্যকে জমি দেবে তারা। ঝিলকে পরিচ্ছন্ন রাখার খরচ দেবে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। ঝিলের আশপাশের রাস্তাঘাটের মেরামতির কাজ করবে রেল। ঝিলের নিয়মিত দেখাশোনা এবং সাফ রাখার দায়িত্ব থাকছে হাওড়া পুরসভার উপরে।
প্লাস্টিক ও কঠিন বর্জ্যও সংগ্রহ করবে পুরসভা। এনজিটি-র নির্দেশ মতো ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির খরচ যৌথভাবে বহন করবে রেল এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। প্লান্ট তৈরির জন্য ন্যূনতম কত জমির দরকার, তা সমীক্ষা করে ঠিক করবে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। জমির পরিমাণ রেলকে জানানোর পরে রেল কর্তৃপক্ষ আইন মোতাবেক তা হস্তান্তর করবে রাজ্যকে। কীভাবে ট্রিটমেন্ট হবে, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেবে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল বায়োডায়ভার্সিটি বোর্ড।’
রেল এবং রাজ্যের যৌথ প্রতিনিধি দল ঝিল পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দখলদারির উচ্ছেদে দু’তরফই উদ্যোগ নেবে। ঝিলে দূষণ না ছড়ানোর জন্য রেল স্থানীয় এলাকায় প্রচার করবে। ঝিলকে কেন্দ্র করে কোনও পর্যটন প্রকল্প করা সম্ভব হলে তা রাজ্য ও রেল যৌথ ভাবেই করবে। সেখান থেকে আয় হওয়া অর্থ দু’পক্ষই পাবে।