Santragachi Jheel : সাঁতরাগাছি ঝিল বাঁচাতে জোট করেই জট কাটাবে রাজ্য-রেল – west bengal government and railway ministry takes initiative to build a treatment plant for saving santragachi jheel


এই সময়: সাঁতরাগাছির ঝিলকে দূষণ থেকে বাঁচাতে তরল বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র বা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির নির্দেশ দীর্ঘদিনের। কিন্তু কার্যত রেল-রাজ্য মতানৈক্যের জন্য জমি থেকে শুরু করে অন্যান্য জট কেটেও কাটছিল না। শেষ পর্যন্ত সেই জট কাটিয়ে মতৈক্যে পৌঁছনো গিয়েছে বলে জাতীয় পরিবেশ আদালতে (এনজিটি) হলফনামা দিয়ে জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা।তিনি জানিয়েছেন, রেলের দেওয়া জমিতে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করবে রাজ্য। ঝিল সংলগ্ন রাস্তার মেরামতির কাজ করবেন রেল কর্তৃপক্ষ। বাকি প্রকল্পের খরচ জোগাবে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তর এবং হাওড়া পুরসভা। সম্প্রতি এনজিটি সব পক্ষকেই জানিয়েছে, দ্রুত সবক’টি কাজ শুরু করে দেওয়া হোক। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব হলফনামায় জানিয়েছেন, গত নভেম্বরে রেল এবং রাজ্য একটি বৈঠকে যৌথ ভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই সেগুলি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই বৈঠকে রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার-সহ রেলের অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

রেল ও রাজ্যের মধ্যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শহরের বর্জ্য ও দূষিত জলকে পরিশোধিত করে তার পরে তা ফেলা হবে ঝিলে। যেহেতু এখানকার জমি রেলের, তাই ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির জন্য রাজ্যকে জমি দেবে তারা। ঝিলকে পরিচ্ছন্ন রাখার খরচ দেবে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। ঝিলের আশপাশের রাস্তাঘাটের মেরামতির কাজ করবে রেল। ঝিলের নিয়মিত দেখাশোনা এবং সাফ রাখার দায়িত্ব থাকছে হাওড়া পুরসভার উপরে।

প্লাস্টিক ও কঠিন বর্জ্যও সংগ্রহ করবে পুরসভা। এনজিটি-র নির্দেশ মতো ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির খরচ যৌথভাবে বহন করবে রেল এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। প্লান্ট তৈরির জন্য ন্যূনতম কত জমির দরকার, তা সমীক্ষা করে ঠিক করবে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। জমির পরিমাণ রেলকে জানানোর পরে রেল কর্তৃপক্ষ আইন মোতাবেক তা হস্তান্তর করবে রাজ্যকে। কীভাবে ট্রিটমেন্ট হবে, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেবে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল বায়োডায়ভার্সিটি বোর্ড।’

রেল এবং রাজ্যের যৌথ প্রতিনিধি দল ঝিল পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দখলদারির উচ্ছেদে দু’তরফই উদ্যোগ নেবে। ঝিলে দূষণ না ছড়ানোর জন্য রেল স্থানীয় এলাকায় প্রচার করবে। ঝিলকে কেন্দ্র করে কোনও পর্যটন প্রকল্প করা সম্ভব হলে তা রাজ্য ও রেল যৌথ ভাবেই করবে। সেখান থেকে আয় হওয়া অর্থ দু’পক্ষই পাবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *