প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে বিজেপির নীলাদ্রি শেখর দানার কাছে ১ হাজার ৩৭৬ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু,সেই পরাজয়ের পরেও সেখানকার রাজনীতিতে অবাধ বিচরণ দেখা গিয়েছে সায়ন্তিকার। নিজের বহিরাগত তকমা ঝেড়ে ফেলে বাঁকুড়ায় মাটিতে একপ্রকার ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছিলেন তিনি। তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
সম্প্রতি এক কর্মসূচিতে গিয়ে সায়ন্তিকা দাবি করেন, তৃণমূলের প্রতীক নিয়ে যে দাঁড়াবে সেই জিতবে। যদি একটি বটগাছও প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে সেটিও জিতবে। সায়ন্তিকা নলেন, “যদি তৃণমূলের পক্ষ থেকে বটগাছ প্রতীক পায়, তাহলে সেটিও জিতবে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে রাজ্যের মানুষের পাশে, বিশেষত জঙ্গলমহলের পাশে ছিলেন আছেন ও থাকবেন সেটা অন্য কেউ পারবে না। আর সেটা ইতিমধ্যে প্রমানিতও হয়ে গিয়েছে।’
একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের জন্য সায়ন্তিকার বার্তা দেন, বিজেপির সাংসদরা যখন ফের ভোট চাইতে আসবেন তখন তাঁদের কাছে ৫ বছরে ২৫ কোটি টাকার উন্নয়ন নিয়ে জানতে হবে। সেই প্রসঙ্গে সায়ন্তিকা কটাক্ষ করে বলেন, ‘২৫ কোটি টাকার ল্যাম্পপোস্টও যদি দেখতাম, তাহলেও মেনে নিতাম যে তাঁরা উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু ওঁদের (বিজেপি সাংসদদের) সেই মানসিকতাটাই নেই।’
কিন্তু এবার দেখা গেল দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই ইস্তফা দিলেন সায়ন্তিকা। তবে কি দল টিকিট না দেওয়ার কারণেই ইস্তফা দিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে।
