কাঁধি ‘অধিকারী গড়’ হিসেবেই পরিচিত। সেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীকে প্রার্থী হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। এবার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করা হয়েছে। এখন তাঁদের মধ্যে জয় কে ছিনিয়ে আনে, তাই দেখার।
ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জেতেন নির্মলচন্দ্র রায়। তাঁকে এবার জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়াকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকে বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী করা হয়েছে। এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
পাশাপাশি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করা বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে রায়গঞ্জের প্রার্থী করা হয়েছে। এছাড়া সদ্য তৃণমূলে যোগদান করা বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে দেওয়া হয়েছে রানাঘাট কেন্দ্র।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, এই নামগুলির প্রত্যেকেই রাজনৈতিক ময়দানে তারকা। তাঁদের প্রত্যেকের উপর ভরসা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে তাঁরা জয়ী হলে যে প্রার্থী জয়ী হবেন নিয়ম মোতাবেক তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ফের অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন।
ভোট দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং এই ১১ জন বিধায়ক কি বিধানসভা ভোটের মতো লোকসভা নির্বাচনেও জয় ছিনিয়ে আনতে পারবে? সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, এদিন ৪২ জন প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে র্যাম্পে হাঁটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।