Diamond Harbor News,মহিলা সাব ইনস্পেক্টরের ডাক পড়েনি, জোর বিতর্ক ডায়মন্ড হারবারে – doctor death case female sub inspector not heard strong debate in diamond harbour


এই সময়, ডায়মন্ড হারবার: চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি তিন জনের মধ্যে একজনকে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বাকি দু’জনের ব্যাপারে মুখ কুলুপ পুলিশ কর্তাদের। তা নিয়েই বিতর্ক বেধেছে ডায়মন্ড হারবারে। ডাক্তার মৃত্যুর তদন্তে পুলিশ প্রভাবশালীদের আড়াল করছে বলে সরব হয়েছে বিরোধীরা।মৃত চিকিৎসক কল্যাণাশিস ঘোষের মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরে নাম থাকা ছ’জনের মধ্যে বার মালিক অভিজিৎ দাস ও তার স্ত্রী রিয়া দাস ও অভিজিতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, পুলিশের কনস্টেবল বাঁকিবিল্লা বোরহানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এফআইআর-এ নাম থাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মৃত চিকিৎসককে তাঁর কোয়ার্টার ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া এফআইআর-এ নাম থাকা দু’জনের বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতেই চাইছে না। যার মধ্যে অন্যতম অধরা ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এক মহিলা সাব ইনস্পেক্টর। তিনি আবার মৃত চিকিৎসকের প্রেমিকা রিয়া দাসের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। এফআইআরে তাঁর নাম থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

একটি সূত্রের মতে, মৃত চিকিৎসক কল্যাণাশিস ঘোষ ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও রাজ্যের শাসক দলের চিকিৎসক সংগঠনের একজন পরিচিত মুখ ছিলেন। অথচ তাঁর এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে অভিযুক্তদের আড়ালের চেষ্টার অভিযোগ উঠছে।

শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি ও আইএসএফ। শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা মহাব্রত দাস বলেন, ‘একজন গুণী চিকিৎসককে আমরা অকালে হারালাম। তার পিছনে উঠে আসছে একটি সেক্স র‍্যাকেটের গল্প। প্রেমের টোপ দিয়ে একটি মেয়েকে দিয়ে চিকিৎসককে ট্র্যাপে ফেলে ব্ল্যাকমেল করে তার সঙ্গীরা সর্বস্ব লুট করেছে। কিন্তু এখনও এফআইআর-এ নাম থাকা পুলিশের মহিলা সাব ইনস্পেক্টরকে ধরা হচ্ছে না। তাকে তৃণমূল আশ্রয় দিয়ে রাখায় পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না।’

আইএসএফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহ-সভাপতি শাহাদাত শাহের অভিযোগ, ‘যতদূর জানি ওই মহিলা সাব ইনস্পেক্টর ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার হেড কোয়ার্টারে ডিআইবিতে রয়েছেন। তারপরও স্বয়ং ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার কেন তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিচ্ছেন না?’

যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা অরুময় গায়েন বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলছে। চিকিৎসকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি বিষয়টি পুলিশ নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিরোধীদের এখানে হইচই করার কোনও জায়গা নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *