আমি বাংলা বুঝতে পারি
কীর্তি আজাদ
রবিবার রাতে কলকাতা থেকে তিনি বর্ধমানের কার্জন গেটের বিধায়ক অফিসে যান। সেখান থেকেই একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। কীর্তি আজাদ বলেন, ‘আমি মিথিলাঞ্চলের লোক। মৈথিলী একটা প্রাচীন ভাষা। আমাদের রীতিনীতি অনেকটা মেলে বাংলার সঙ্গে। বাকিটা শিখে নেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও রাজ্যের নয়, দেশের হয়ে খেলেছি। নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের বাসিন্দা। কিন্তু, তিনি বারাণসী থেকে ভোটে লড়েন।’
এদিকে বাংলা বলতে না পারা খুব একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না বলেই মনে করছেন তিনি। কীর্তির কথায়, ‘আমি বাংলা বুঝতে পারি। বলতে পারি না।’ জয়ী হওয়ার পর তাঁকে কতটা নিজের কেন্দ্রে পাওয়া যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। এবার এই প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি। কীর্তির কথায়, ‘মানুষের কথা সাংসদই শুনবেন। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা সাংসদই শুনবে।’ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে। গোয়া থেকে না লড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সেখান থেকে লড়ছি না। ইন্ডিয়া জোটের সমর্থন করি।’
মোদীর গ্যারান্টির বদলে তিনি দিদির ওয়ারেন্টি প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। পাশাপাশি জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসীও শোনা গেল তাঁকে। কীর্তি বলেন, ‘বিজেপি এই কেন্দ্রে মাত্র একবারই জিতেছে। তাই এই নিয়ে আলাদা করে ভাবছি নায জয়ী হলে দুর্গাপুর বর্ধমানের মানুষের জন্য কাজ করব।’
উল্লেখ্য, ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রের প্রার্থীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই ছিল একাধিক চমক। ছিল দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের নাম। কীর্তি আজাদের পাশাপাশি এই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে বহরমপুর কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন ইউসুফ পাঠান।