বিল্ডিংয়ের কোথায় কী?
‘জি প্লাস সিক্স’ ওই ভবনটি বেসমেন্টেও দু’টি ফ্লোর থাকছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই দু’টি ফ্লোরের একটিতে বসবে সিটি সিম্যুলেটর, ব্র্যাকিথেরাপি ও লিনিয়র অ্যাক্সিলারেটরের (লাইন্যাক) মতো অত্যাধুনিক যন্ত্র। অপর ফ্লোরে ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার প্যানিং করা হবে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকছে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগ। দোতলায় থাকবে অঙ্কোপ্যাথোলজি বিভাগ, তিনতলায় রেডিওথেরাপি ওয়ার্ড। ৩৪ শয্যা বিশিষ্ট ওই ওয়ার্ডে এইচডিইউ-এর ব্যবস্থাও থাকছে। চতুর্থ তলে থাকছে মেডিক্যাল অঙ্কোলজি ওয়ার্ড। ৩৯ শয্যার ওয়ার্ডে এইচডিইউ ছাড়াও থাকছে তিনটি কেবিন। এর ওপরের ফ্লোর অর্থাৎ পাঁচতলায় সার্জিক্যাল ও মেডিক্যাল অঙ্কোলজি ওয়ার্ডে থাকছে ৩০টি বেড। তার মধ্যে ২টি থাকছে এইচডিইউ। ছ’তলায় থাকছে ক্যান্সার রোগীদের অস্ত্রোপচারের জন্য সার্জিক্যাল অঙ্কোলজি ওটি এবং প্রি ও পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড। সেখানে রয়েছে ২টি ওটি এবং চারটি বেড। আর সবচেয়ে ওপরে অর্থাৎ সাততলায় থাকছে দু’টি বিভাগ। নিউক্লিয়ার মেডিসিন এবং মেডিক্যাল অঙ্কোলজি। এছাড়া ব্র্যাকিথেরাপি ওটি এবং অঙ্কোপ্যাথোলজি ল্যাবরেটরিও থাকছে সাততলাতেই।
রোগীদের সুরাহা
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় চালু হয়েছে ক্যানসার চিকিৎসার আউটডোর। এমনকী জেলা হাসপাতালে বসে কেমোথেরাপিও করাতে পারবেন রোগীরা। এই প্রসঙ্গে, হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রিজিওনাল ক্যানসার সেন্টারে সমস্ত ধরনের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকছে। এর ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রে ক্যানসারের চিকিৎসার চেয়ে অনেকটা কম খরচে পরিষেবা পাবেন রোগীরা।
প্রসঙ্গত, ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য অনেক সময়ই বাইরে যেতে হয় রোগীদের। অনেকেরই সেই লোকবল ও অর্থবল থাকে না। সেক্ষেত্রে এবার এই ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্রেটি চালু হয়ে গেলে অনেকটাই সুরাহ হবে ওই সমস্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের।