Diamond Harbour Incident,মহিলা সাব ইনস্পেক্টরের গ্রেপ্তারির দাবিতে পোস্টার ডায়মন্ড হারবারে – diamond harbour residence poster for demanding arrest of female sub inspector


এই সময়, ডায়মন্ড হারবার: চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে এ বার গর্জে উঠলেন ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দারা। সোমবার ডায়মন্ড হারবার শহরের প্রাণকেন্দ্র স্টেশন মোড় ও ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর-সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে দেখা গেল পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।জনকল্যাণ সমিতির নামে এই পোস্টার শহর জুড়ে লাগানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩ তারিখ গভীর রাতে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় চিকিৎসক কল্যাণাশিস ঘোষের (৪৫) দেহ উদ্ধার হয়। পরে হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা চিকিৎসকের মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার করা হয় চিকিৎসকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এক মহিলা রিয়া দাস ও তার স্বামী অভিজিৎ দাস-সহ তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল বাঁকিবিল্লা বোরহানিকে। ধৃতরা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

হাসপাতালের প্রিন্সিপালকে নোটিস পাঠিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশের তদন্তকারী অফিসারেরা একাধিক নার্স, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জরুরি নথি এবং সাক্ষী সংগ্রহের কাজ করছেন। তবে এফআইআর-এ নাম থাকা পুলিশের এক মহিলা সাব ইনস্পেক্টরকে এখনও গ্রেপ্তার না করায় প্রশ্ন উঠেছে।

ডায়মন্ড হারবারের জনকল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক দেবাশিস চৌধুরী বলেন, ‘মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের আত্মহত্যা লজ্জার, দুঃখের এবং দুর্ভাগ্যের। সম্পর্কের জালে ফাঁসিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালিয়ে লাগাতার ব্ল্যাকমেল করে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়ার পিছনে যারা যুক্ত তাদের সকলকেই অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশের মহিলা সাব ইন্সপেক্টরকেও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের কাছে আবেদন জানাই। যদি তাকে আড়ালের চেষ্টা হয় তা হলে ডায়মন্ড হারবারের সুশীল সমাজকে নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’

মহিলা সাব ইনস্পেক্টরের ডাক পড়েনি, জোর বিতর্ক ডায়মন্ড হারবারে

প্রবীণ কবি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যে ডাক্তার করোনার হাত থেকে ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে বাঁচাতে সামনে থেকে লড়াই করেছেন, তিনি যে এ ভাবে লড়াইয়ের ময়দানে হার মানবেন ভাবতেই পারছি না।’ তরুণ সাহিত্যিক সৌরভ কুঁতি বলেন, ‘শুনেছি এক মহিলা সম্পর্কের জালে ফাঁসিয়ে চিকিৎসককে প্রতারণা করেছে। পুলিশ কোথায় মানুষকে সাহায্য করবে। সেখানে চিকিৎসকের আত্মহত্যার পিছনেও পুলিশ কর্মীদের জড়িত হওয়ার ঘটনা কখনওই কাম্য নয়। আমরা চাই সকলকে গ্রেপ্তার করা হোক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *