তিনি আরও বলেন, ‘ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, আমাদের মতো কয়েকজনকে যদি বলব যে এটা আমাদের সিদ্ধান্ত মানতে হবে সেক্ষেত্রে তা মেনে নিতাম।’
শুধু তাই নয়, হুমায়ুন আরও সুর চড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়টি মানছি না।’ তাঁর আরও তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা, ‘নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর আমি আমার সিদ্ধান্ত জানাব। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না। ২০১৬ সালে যা ঘটেছিল, আমার বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই একটা অংশ বিরোধিতা করেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে আমাকে টিকিট না দেয় তা ওরা পাকা করেছিল। রাজনীতি সম্ভবনাময় শিল্প।’
নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর কী পদক্ষেপ করেন হুমায়ুন কবীর? এখন সব নজর সেই দিকেই। উল্লেখ্য, তবে কি দল বদল করতে পারেন তিনি? হমায়ুন কবীর অবশ্য সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন। তিনি নিজেই দল খুলতে পারেন। সেই পার্টির হয়ে লড়াই করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে BJP-র প্রার্থী হয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। পরে অবশ্য তিনি দল বদল করেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে ভরতপুরের প্রার্থী করে তৃণমূল। সেখানে তিনি ভোটে লড়ে জয়ীও হন। কিন্তু, এরপরেই তাঁর বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে। দলীয় তরফে হুমায়ুন কবীরকে সতর্কও করা হয়। এবার লোকসভা নির্বাচনের মুখে নতুন দল গড়ার হুঁশিয়ারি শোনা গেল হুমায়ুনের কণ্ঠে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি লোকসভা নির্বাচনের আগেই নয়া দল গড়বেন হুমায়ুন?