মৃণালকান্তি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে ধরনের কার্যক্রম করেন, তাতে মতুয়ারা তাঁর প্রতি আশাবাদী ও তাঁকে শ্রদ্ধা করে।’ এদিকে এই সিএএ লাগু হওয়ার ফলে লকেট চট্টোপাধ্যায় বাড়তি সুবিধা পাবেন বলে মনে করছে বিজেপিও। হুগলি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি তুষার মজুমদার মনে করেন, ‘এর ফলে মতুয়া ভোট পাওয়া যাবে।’
অন্যদিকে তৃণমূল অবশ্য মনে করছে এর ফলে লকেট চট্টোপাধ্যায় কিছুটা সুবিধা পেলেও সিএএ চালু হওয়ার ফলে মতুয়ারা সবাই ভারতীয় জনতা পার্টিতে চলে যাবেন, এমনটা মনে হওয়ার কোনও কারণ নেই। এই প্রসঙ্গে হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যে সমস্ত মানুষ বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আসলে তাঁরা তো নাগরিক হিসেবেই এখানে বসবাস করছেন। তাঁদের আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড আছে। নতুন করে আবার কী নাগরিকত্ব দেওয়া হবে? আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে এরা। এমন একটা কিছু বলতে চাইছে, যেন নতুন একটা কিছু করছে! তাতে কিছু মানুষ নাচানাচি করছে। হিন্দুধর্মকে হাতিয়ার করে নির্বাচনী যুদ্ধে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি।’
প্রসঙ্গত, এবারেও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হুগলি থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। দুই অভিনেত্রীর রাজনৈতিক লড়াই দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন হুগলিবাসী। এখন দেখার সিএএ-এর ফলে আদতেই লকেট ভোটবাক্সে ফায়দা তুলতে পারেন কি না।