মূলত, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তা নিয়ে সরব হন তিনি। তাঁর কথায়, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছি। আমাদের যা আছে আপনারা নিয়ে নিন। কিন্তু, সাধারণ মানুষের প্রাপ্যটুকু কেন দেবেন না? এখানেই তিনি তুলে ধরেন, রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনার কথা। একশো দিনের টাকা যে রাজ্য সরকারই দিল, সেই কথা তুলে ধরেন এদিনের অনুষ্ঠান থেকে।
মঙ্গলবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও সিএএ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। শিলিগুড়ির অনুষ্ঠান থেকেও ফের এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। নাগরিকদের অনেক অধিকার আছে, সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্যেই এটি একটি প্রয়াস বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ইডি আদালতে জানায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে যে সম্পত্তি রয়েছে সেগুলি অ্যাটাচ করার কাজ করা হচ্ছে। কালীঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে বাড়ি রয়েছে, সেটি অ্যাটাচ করা হয়েছে। মূলত, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ জানতে চেয়েছিল আদালত। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলায় অভিষেক-সহ সকল ডিরেক্টরের সম্পত্তির পরিমাণ জানতে চায় কোর্ট। ইডিকে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় আরও গভীরে ঢুকে ইডি। যদিও, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর সমস্ত সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হয়েছিল। নিজের সমস্ত সম্পত্তির হিসেব তিনি জমা দিয়েছিলেন হাইকোর্টের নির্দেশে।