Nabanna On CAA : CAA কার্যকরের পরেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নবান্নের, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ নির্দেশ – nabanna gives special instructions regarding law and order situation of the state after caa implemented


দেশজুড়ে কার্যকর করা হয়েছে CAA বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। আর এরপরেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক নবান্ন। বাংলার কোথাও যাতে শান্তি বিঘ্নিত না হয় সেই জন্য সমস্ত জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে।সোমবার CAA লাগু হওয়ার পর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেখানেই জেলার পুলিশ সুপার এবং সিপিদের দেওয়ার হয় বিশেষ নির্দেশ। তাঁদের বলা হয়, রাজ্যের কোনও মিটিং মিছিলে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে কোনওভাবে না ঘটে সেই দিকে দিতে হবে বিশেষ নজর। CAA লাগু হওয়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মিছিলের পরিকল্পনা করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই মিছিলগুলিতে যাতে কোনওভাবেই অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার কথা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় CAA নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, ‘এখনও পর্যন্ত নোটিফিকেশন পাইনি। পাওয়ার পর তা দেখে হাবড়া থেকে এই নিয়ে বিস্তারিত মতামত জানাব।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সমস্ত রিপোর্টটি দেখার পর হাবড়ার মিটিং থেকে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানাব। কোনও রকম বৈষম্য আমরা মানব না।’ কেন লোকসভা নির্বাচনের আগে CAA লাগু করা হল? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন CAA বলে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে কি এতদিন তাঁরা নাগরিক ছিলেন না? কোনও নাগরিকের নাগরিকত্ব যদি বাতিল করা হয়, তাহলে চুপ থাকব না। প্রতিবাদ করব। কাউকে যদি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয় সেক্ষেত্রে চুপ থাকব না।’

CAA কী?
এই মোতাবেক ২০১৫ সালের আগে পর্যন্ত যাঁরা আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে এদেশে এসেছিল তাঁদের প্রত্যেককে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

CAA : ‘একজনেরও নাগরিকত্ব যাবে না’, দাবি অমিত শাহের সেকেন্ড ইন কমান্ডের

ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি বলেছেন, CAA-র ফলে কারও নাগরিকত্ব যাবে না। একই সুর শোনা গিয়েছে তাঁর ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের কণ্ঠেও। তিনি বলেছেন, ‘অন ক্যামেরা বলছি, একজন মানুষেরও নাগরিকত্ব যাবে না।’

যদিও CAA-র সমালোচকরা ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছে। CAA বৈষম্যমূলক, এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা। এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কী বার্তা দেন, এখন সব মহল সেই দিকেই তাকিয়ে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *