আদালতের বক্তব্য, কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি, সেটা ব্যাপক দুর্নীতির পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ। কুন্তল বা এই ধরনের অভিযুক্তদের আয়ের নির্দিষ্ট উৎস নেই। তা হলে তাঁদের প্রমাণ করতে বলা হোক সম্পদের উৎস কী। আদালতের আরও বক্তব্য, সিবিআই এবং ইডি’র একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
আদালতগ্রাহ্য অপরাধের উদাহরণ দিতে গিয়ে আদালতের বক্তব্য, ‘কেউ যদি কোনও জনপ্রতিনিধির নাম করে কারও কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে, সেটাই অপরাধ। সেই জনপ্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ আছে না নেই, সেটা ধর্তব্য নয়।’ দুর্নীতিদমন আইনের ধারা যুক্ত করার ক্ষেত্রে হয় তদন্তকারী আধিকারিকরা অজ্ঞতা দেখিয়েছেন না হলে তাঁরা অভিযুক্তদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন বলেও ইডি এবং সিবিআইয়ের উদ্দেশে মন্তব্য করেন বিচারপতি বাগচী।
হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে মনে করিয়ে দেয়, শুধুমাত্র আদালতের প্রত্যক্ষ নজরদারির কারণেই এই দুর্নীতি সামনে এসেছে। এখন তদন্তকারী সংস্থার যদি গয়ংগচ্ছ মনোভাব হয়, তা হলে আদালত সেটা হালকা ভাবে দেখবে না। দুই এজেন্সিকে আদালতের প্রশ্ন, কেন বিচারপ্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি!
এজেন্সিকে আদালতের নির্দেশ,✓‘একজন সাক্ষী নিয়ে আসুন যিনি এঁদের টাকা দিয়েছেন। সেটাই বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর জন্যে যথেষ্ট। অযথা তদন্ত বিলম্বিত করে মানুষের স্মৃতি থেকে এই ঘটনা মুছে যেতে দেবেন না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতাকে উপহাসে পরিণত করবেন না।’
দুর্নীতিতে কুন্তল-নীলাদ্রির ভূমিকা নিয়ে ইডি-সিবিআইকে আগামী শুনানিতে রিপোর্ট দেওয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত। তিন সপ্তাহ পরে হবে শুনানি।