এই সময়: প্রশ্নের জবাব দিতে বার বার সময় চাওয়ায় হাইকোর্টের কড়া মনোভাবের প্রেক্ষিতে সোমবার শেষ পর্যন্ত নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ওএমআর স্ক্যান সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। হাইকোর্টে এসএসসি জানায়, সিবিআইয়ের হলফনামা থেকে ডেটা স্ক্যানটেক নামে সংস্থার কথা তারা জেনেছে। তবে এসএসসি ওএমআর স্ক্যান করার বরাত দিয়েছিল নাইসা নামে একটি সংস্থাকে।তাদের বক্তব্য, এটা হতে পারে, নাইসার তরফে ডেটা স্ক্যানটেকের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। নাইসা ওই সংস্থাকে আউট সোর্স করে থাকতে পারে। যদিও এসএসসি’র সঙ্গে শুধু নাইসারই চুক্তি হয়েছিল। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে,✓এসএসসি’র অফিসেই তো স্ক্যান হয়েছিল? এসএসসি জানায়, হ্যাঁ। কিন্তু ডেটা স্ক্যানটেকের কথা জানা ছিল না।
বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন, ‘আপনাদের কাছে এখন আর ওএমআর শিট নেই, সিবিআই আপনাদের যে নথি দিয়েছে, তার ভিত্তিতে আপনারা পদক্ষেপ করেছেন। আপনারা কি সেই নথির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন?’ এসএসসি জানায়, যেহেতু অন্য একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা থেকে ওই নথি আদালতের মাধ্যমে হাতে এসেছে, তাই তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই।
বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন, ‘আপনাদের কাছে এখন আর ওএমআর শিট নেই, সিবিআই আপনাদের যে নথি দিয়েছে, তার ভিত্তিতে আপনারা পদক্ষেপ করেছেন। আপনারা কি সেই নথির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন?’ এসএসসি জানায়, যেহেতু অন্য একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা থেকে ওই নথি আদালতের মাধ্যমে হাতে এসেছে, তাই তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই।
এসএসসি’র আরও বক্তব্য, আদালত যদি কোনও নির্দেশ দেয়, তা পালন করা হবে। বিরক্ত আদালতের বক্তব্য, যখনই এসএসসিকে কোনও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা হয়, তখনই তারা চুপ করে থাকে। আদালতের নির্দেশের কী প্রয়োজন? যদি কোনও পদক্ষেপ করতে হয়, সেটা এসএসসি করতেই পারে।
এ দিন শুনানির শুরুতে ফের বক্তব্য জানানোর জন্যে সময় চেয়েছিল এসএসসি। তাতে আদালতের বক্তব্য ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন যদি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে না পারে সেটা বলে দিক, তা হলে কোর্ট সে ভাবেই শুনানি করবে। তার পরেই অবশ্য এসএসসি’র আইনজীবী সুতনু পাত্র এজলাসে এসে সব প্রশ্নের জবাব দেন।
পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করতেই তাঁর শুনানিতে অংশ নেওয়া বলে জানান তিনি। গতদিন শুনানিতে প্রশ্নের জবাব দিতে সময় চাওয়ায় আদালতের বিরক্তির মুখে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।