মৃতরা হলেন বিদ্যুৎ বেড়া(২৯), তার স্ত্রী প্রীতি বেড়া(২২) এবং তাদের পুত্র বিহান বেড়া(২)। তাদের বাড়ি হুগলির দাদপুর বক্রেশ্বর এলাকায়। মারা গিয়েছেন আরও এক টোটো যাত্রী সৃজা ভট্টাচার্য(২০)। তাঁর বাড়ি হুগলির ভাসতারা এলাকায়। হুগলির পান্ডুয়া এলাকার নুপুর দাস(৫০) এবং রামপ্রসাদ দাস(৬২) এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। পুলিশ মৃত সকলকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। এখানেই দেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হবে। ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান হাসপাতালে আসেন বর্ধমান থানার আই সি দীবেন্দু দাস। ঘটনায় আহত হয়েছেন টোটোচালক সৌমেন ঘোষ। তার মাথায় ও হাতে চোট লেগেছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। পরে তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাস্তায় পাশেই কংসারিপুর মোড়ে একটি টোটো ছিল। টোটোয় একাধিক যাত্রী ছিলেন। হঠাৎ করেই একটি ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই টোটো ধাক্কা মারে। টোটোর উপর উঠে যায় গাড়িটি। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ হানিফ বলেন, ‘টোটোতে চালক সমেত সাতজন ছিল। তাঁদের মধ্যে একটি শিশু তার মা বাবা কলেজ ছাত্রীও ছিলেন। কেউ ডাক্তার দেখাতে কেউ নিজের কাজে যাচ্ছিলেন। বেপরোয়া ডাম্পার টোটোকে পিষে দেয়। চালক বেঁচে গেলেও যাত্রীরা সকলেই মারা যায়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার জানান, ওই ডাম্পারের চালককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডাম্পার চালক কেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এভাবে ধাক্কা মারলেন সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন কিনা, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণে কংসারিপুর মোড়ে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।