দেবারতি দেবীর পোস্ট অনুযায়ী, গত ৯ তারিখ আধারের কাজ করাতে রূপঙ্কর সস্ত্রীক বেলগাছিয়া পোস্ট অফিসে গিয়েছিলেন। সাড়ে ১২টা নাগাদ পোস্ট অফিসে ঢুকে চৈতালিদেবী প্রথমে আধার নথিভুক্তকরণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মীকে বলেন, তিনি রাজ্য মহিলা সুরক্ষা দপ্তর থেকে আসছেন।
তাই তাঁর কাজটা এখনই করিয়ে দিতে হবে। সে সময়ে পোস্ট অফিসের সেই কর্মী জানান, যারা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের হয়ে যাওয়ার পরে তিনি নিশ্চয়ই করে দেবেন। চৈতালীদেবী জানান, তিনি দুপুর দেড়টার সময় ফের আসবেন।
দেবারতির পোস্ট অনুযায়ী, দুপুর দেড়টার বদলে কাজটা শুরু হয় ১টা ৩৫ মিনিটে। তাতেই রেগে গিয়ে চৈতালীদেবী বলে ওঠেন, ‘মুড়ি মুড়কি এক করলে চলবে না, বুঝতে হবে কাকে আগে করতে হবে।’ এমনকী আশালীন ভাষাও ব্যবহার করা হয় বলে দেবারতির অভিযোগ।
চৈতালীদেবী অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। গায়ক পত্নীর কথায়, ‘আধার কার্ডের সমস্যার জন্য গতবার ভোট দিতে পারিনি। তাই এ দিন আপডেট করানোর জন্য পোস্ট অফিসে গিয়েছিলাম। তখন ওঁরা বলেন, এখানে সকাল থেকে লাইন পড়ে, আপনি এখন এলে হবে না। তখন আমি বলি, পোস্ট অফিসে কোথাও লেখা নেই ১০টার সময় এসে কুপন নিতে হবে। আমি বলি, কেন হবে না?
সেটা জানার অধিকার আছে আমার। আমি রাইট টু ইনফরমেশনে চিঠি করব। ..এসব কথা শুনে ওরা উত্তেজিত হয়ে যান।’ তাঁর অভিযোগ, এই পোস্ট অফিসে দালালি চলে। যে আধারকার্ডের কাজ করতে ৫০ টাকা লাগে, সেটার জন্য গরিব মানুষের কাছ থেকে ২০০ টাকা নেয় দালালরা।’
অশালীন ভাষা ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে চৈতালি জানান, বিষয়টা ঘুরিয়ে দিতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সেদিন তাঁদের নাটক দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। রূপঙ্করবাবু বাইরে গাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন। রূপঙ্কর পোস্ট অফিসের ভিতর ঢুকে দেখে ৪-৫ জন মিলে আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করছেন। সেটা দেখেই রূপঙ্কর আমাকে চিৎকার করে বলে, কী হচ্ছে এখানে? সেটা ও রেগে আমাকে বলেছে। পোস্ট অফিসের কোনও কর্মীকে আক্রমণ করেনি।’