এ বার রাজারহাট, কেষ্টপুর, বাগুইআটি এবং সংযোজিত সল্টলেকের বাসিন্দাদেরও এই কর দিতে হবে। নয়া নিয়ম প্রসঙ্গে কেষ্টপুরের বাসিন্দা বিজয় দত্তর বক্তব্য,’রাজারহাট, কেষ্টপুরের অনেক এলাকাতেই এখনও বর্ষায় জল জমে। জঞ্জালও ঠিক ভাবে সাফাই হয় না। এই ব্যবস্থার পরিবর্তনের পরেই নতুন নিয়ম জারি করা উচিত ছিল।’ রাজারহাটের বিপাশা চৌধুরীর প্রশ্ন, ‘টাকা তো আমরা দেব। কিন্তু পরিষেবার মান উন্নত হবে তো?’
পুরকর্তাদের দাবি, আয় বাড়ার ফলে নিকাশি পরিকাঠামো যেমন উন্নত হবে তেমনই এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার উপরেও জোর দেওয়া সম্ভব হবে। ২০২৪-২৫-এর বাজেটেই নতুন নিয়ম কার্যকরী করার বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঠিক হয়েছে, বার্ষিক সম্পত্তিকরের উপরে ১ শতাংশ হারে জঞ্জাল সাফাইয়ের খরচ এবং ০.৭৫ শতাংশ হারে নিকাশি পরিষেবার খরচ নেওয়া হবে পুরবাসীদের কাছ থেকে।
সব মিলিয়ে বাজেটে সম্পত্তিকর থেকে ৪০ কোটি টাকা রোজগারের টার্গেট রাখা হয়েছে। উন্নয়নমূলক কাজে গতি আনতে কাউন্সিলারদের বার্ষিক তহবিল ৫০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৭০ লক্ষ টাকাও করা হয়েছে। প্রবীণ নাগরিকদের জন্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে বসার জায়গা তৈরি হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাজারহাট-গোপালপুরের চুক্তিভিত্তিক পুরকর্মীদের বেতন মাসে ১৫০০ টাকা এবং সল্টলেকের কর্মীদের বেতন মাসে ১০০০ টাকা বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে পুরবাজেটে।