হুগলি শিল্পাঞ্চল এবং ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মধ্যে সহজেই এই জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হওয়ার জন্য উপকৃত হবেন বহু কর্মজীবীরা। ওপারের বাসিন্দারা গঙ্গা পেরিয়ে ইছাপুর হয়ে ব্যারাকপুরে চলে আসতে পারবেন সহজেই। ফলে হুগলি জেলার মানুষের পক্ষে কলকাতায় যাতায়াতের পথও আরও সুগম করা হল।
জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে এই ফেরি সার্ভিস চলবে। প্রাথমিক ভাবে, রাজ্যের পরিবহণ দফতর এই ফেরি সার্ভিস পরিচালনা করবে। পরবর্তীকালে চন্দননগর ও উত্তর ব্যারাকপুর এই দুটি পুরসভা ভাগ ভাগ করে এই ফেরি সার্ভিস পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। কোন পুরসভা এই ফেরি সার্ভিস দায়িত্ব নেবে, সেটা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সঙ্গে বৈঠকে বসে এর সমাধান সূত্র বের করেন। বর্তমানে ব্যারাকপুর ধোবি ঘাট থেকে শেওড়াফুলি ঘাটের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন রয়েছে। আরও একটি ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ার কারণে দুই জেলার বাসিন্দাদের আরও খানিকটা সুবিধা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
দুই জেলার মধ্যে এই নতুন ফেরি ঘাট কর্মপ্রার্থীদের জন্য অনেকটাই সুবিধা করে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। হুগলি থেকে প্রচুর মানুষ কলকাতার উদ্দেশে আসেন নিজেদের কর্মস্থলে যেতে। গঙ্গা পেরিয়ে ব্যারাকপুর থেকে সহজেই তাঁরা কলকাতায় পৌঁছতে পারবেন এই ফেরি সার্ভিসের ফলে।