এরপর গত জানুয়ারি মাসের প্রথমের দিকে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করার জন্য। সেই পরীক্ষা হলেও এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট সামনে আসেনি। এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ডিভিশন বেঞ্চে কি বিচারাধীন রয়েছে?’ এই প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, ‘প্যানেল প্রকাশের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।’ যদিও এতে তদন্তে কোনও সমস্যা নেই বলেই জানানো হয়।
বিচারপতি তদন্তকারীদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি টাকার সোর্স পেয়েছেন?’ CBI-এর পক্ষ থেকে এদিন বলা হয়, ‘ প্রতিটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। অনেক অ্যাটাচমেন্ট করা হয়েছে। সিবিআই অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম পেয়েছে।’ এরপরেই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘তদন্ত কি দ্রুত শেষ হবে?’
CBI-এর পক্ষ থেকে এদিন বলা হয়, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির তদন্ত দিয়ে এই মামলা শুরু হয়। এরপর পুরসভা, রেশন প্রসঙ্গও আসে।’ CBI-এর আইনজীবীর কণ্ঠে ‘প্যান্ডোরা বক্স’ প্রসঙ্গও উঠে আসে।
এদিকে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার রিপোর্ট প্রসঙ্গ এদিন উঠে আসে বিচারপতির কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘শেষবার আপনাদের অ্যাটাচমেন্টের কিছু ছিল না। আদালত বলার পর করেছিলেন। ভয়েস স্যাম্পলের রিপোর্ট কী হল?’ দু’মাস সময় পার হয়ে গিয়েছে, তাও বলেন বিচারপতি। CFSL এর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। বিচারপতির এই দিনের পর্যবেক্ষণ, ‘এই বিষয়গুলি খুব দরকার যদি কিছু করতে চান। নাহলে স্যাম্পল নিয়ে কী লাভ?’ CBI-এর তরফে বলা হয়, ‘পরের দিন এই বিষয়ে তারা আদালতে তথ্য দেবে।’
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নামে CBI। তদন্তে ED-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। এরপর একাধিক নাম উঠে আসে।