এদিকে, আগামী ২০.মার্চ বসিরহাটে দলীয় সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যে বসিরহাট কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রাক্তন সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামকে ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিদায়ী সাংসদ নুসরত জাহানকে এবার আর টিকিট দেয়নি শাসক দল।
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানান, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে সবাইকে একযোগে প্রচারে নামার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। এর ফাঁকেই কয়েকদিনের মধ্যেই বসিরহাটে আসার জন্য ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার কিছুদিনের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা আলাদ করে আয়োজন করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে এই কেন্দ্র থেকে গতবারের লোকসভা নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে এনেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবারে আর বিদায়ী সাংসদ নুসরত জাহানকে প্রার্থী করা হবে না, এমনটাই গুঞ্জন ছিল দলের অন্দরে। শেষমেষ, ভূমিপুত্র এবং তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ হাজী নুরুল ইসলামের উপরেই ভরসা রাখে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই আসন থেকে এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি, সিপিএম বা অন্যান্য দল। তবে, সন্দেশখালি কাণ্ডের পর থেকেই এই কেন্দ্র বিশেষ নজরে রয়েছে বিজেপির। তবে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি স্থানীয় মানুষের আস্থা টিকিয়ে রাখতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা অনেকটাই অক্সিজেন যোগাবে বলে মনে করছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দুই একদিনের মধ্যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহ থেকেই পুরোদমে প্রচার শুরু হয়ে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার কর্মসূচিতে বসিরহাট কেন্দ্র থাকবে বলেও মনে করা হচ্ছে।