BJP News : ৪৫ মিনিট লেট! বৈঠকে প্রবেশের অনুমতিই পেলেন না BJP-র বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি – birbhum bjp president dhruba saha reportedly did not get permission to be in a meeting with smriti irani for being late


দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সংগঠন গোছানোয় জোর দিচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। মঙ্গলবার বর্ধমান শহরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এদিকে সময়ের থেকে প্রায় ৪০ মিনিট দেরিতে সেখানে পৌঁছন BJP-র বীরভূম সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। আর সেই কারণে তাঁকে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে সূত্রের খবর।দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে বরাবর সতর্ক বিজেপি। সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি সকলের জন্যই যে দলীয় নিয়ম শৃঙ্খলা এক, সেই বার্তা গিয়েছে এই পদক্ষেপে, দাবি গেরুয়া শিবিরের একাংশের। যদিও এই নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের কণ্ঠে।

মঙ্গলবার বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি চারটি লোকসভা কেন্দ্রের নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন বর্ধমান সদরে। সেখানেই তিনি নির্বাচনের জন্য সমর কৌশল তৈরি করেন বলে সূত্রের খবর। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে শুরু হয়েছিল বৈঠক।

আমি কোনও কেউকেটা নেই

ধ্রুব সাহা

কিন্তু, এরপর প্রায় ৪০ মিনিট কেটে গেলেও সেখানে কোনও কারণবশত পৌঁছতে পারেননি ধ্রুববাবু, সূত্রের খবর এমনটাই। জানা গিয়েছে, এরপর তিনি সেখানে দিয়ে নিরাপত্তা রক্ষী মারফত ভেতরে প্রবেশের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে সম্মতি দেওয়া হয়নি। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুধকুমার মণ্ডল। এই ঘটনায় বেশ হতাশ ধ্রুব সাহা ঘনিষ্ঠরা। লোকসভা নির্বাচনের মুখে এই ঘটনায় চাপা অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে। যদিও এই ঘটনার ইতিবাচক দিকগুলির কথা তুলে ধরছেন তাঁরা।

এদিকে এই সময় ডিজিটাল-এ মুখ খুলেছেন ধ্রব সাহা। তিনি বলেন, ‘আমার প্রায় ৪৫ মিনিট মতো দেরি হয়েছিল। আসলে আমার সঙ্গে চার জন কর্মী ছিল। অনেকের গাড়িতে যাওয়ার অভ্য়াস থাকে না। একজন বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই দেরি হয়।’ তাঁর সংযোজন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা সকলের জন্য। আমি কোনও কেউকেটা নেই। প্রায় ৭০ জন বাইরে ছিল। দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলছে হবে সকলকেই।’

Shantanu Thakur: ‘ওঁর পারফরম্যান্স ভালো’, তৃণমূলে যাওয়া মুকুটমণির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপির শান্তনু

এদিকে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই জেলা সভাপতিদের বৈঠকে স্থান দেওয়া হচ্ছে না। তার মানে দলীয় উচ্চ নেতৃত্ব ধরেই নিয়েছে তাঁদের লড়াইয়ে আলাদা করে বার্তা দেওয়ার মতো কিছু নেই।’ উল্লেখ্য, বীরভূম থেকে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি বিজেপির তরফে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *