একইসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘বিরোধীরা তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে ভোটব্যাঙ্ককে একত্রিত করতে চাইছে। আমি বিনীতভাবে বলছি, আপনারা এমনটা করবেন না, মানুষ জেনে গিয়েছে যে সিএএ এই দেশের আইন। ৪ বছরে কমপক্ষে ৪১ বার বলেছি যে এটা হবে এবং ভোটের আগেই হবে। সিএএ কখনওই প্রত্যাহার হবে না। ভারতের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করা ভারতের বিষয়।’
সিএএ কখনওই প্রত্যাহার হবে না। ভারতের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করা ভারতের বিষয়।
অমিত শাহ
অমিত শাহর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, ‘সিএএ-এর সঙ্গে এনআরসি-র যোগসূত্র অমিত শাহ নিজেই আগে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি জনসভায় বলেছিলেন, ক্রোনোলজি বুঝে নিন, প্রথমে সিএএ আসবে, তারপর পিছনে পিছনে এনআরসি আসবে, এনআরসি হবে। এই যোগসূত্র তো তিনি নিজেই বলেছিলেন। তাহলে আজ কেন বলছেন যোগসূত্র নেই? ২০১৯-এ আইন পাশের পরে কেন ৫ বছর লাগল রুল ফ্রেম করতে? আসলে রাজনীতিটা করছেন অমিত শাহ ও তাঁর সঙ্গে বিজেপি। আর সেই মুখোশটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুলে দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, সিএএ নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজ্যে কোনওভাবেই সিএএ লাগু করতে দেওয়া হবে না বলে ইতিমধ্যেই বারেবারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র যোগ রয়েছে বলেও দাবি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সিএএ হলে মানুষ সম্পত্তির অধিকার হারিয়ে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। আর সেই কারণে সাধারণ মানুষকে সিএএ-র পোর্টালে আবেদন না করারও পরামর্শও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।