CAA,’CAA কখনওই প্রত্যাহার হবে না,’ সাফ কথা শাহর! তৃণমূলের দাবি, ‘মুখোশ খুলে গিয়েছে’ – amit shah says caa will never be withdrawn


দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ। আর তার বিরোধিতা করছে একাধিক দল। তার মধ্যে অন্যতম ভূমিকায় দেখা গিয়েছ তৃণমূলকে। রাজ্যে কোনওভাবেই সিএএ লাগু করতে দেওয়া হবে না বলে বারেবারেই ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই বিষয়ে বড় মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্ত বিরোধী দল মিথ্যার রাজনীতি করছে। ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৯ সালে নিজেদের ইস্তাহারে বলেছিল যে সিএএ আনা হবে এবং পাকিস্তান আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের যে সমস্ত শরণার্থী রয়েছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে। সিএএ-তে এনআরসি-র কোনও বিষয় নেই। এতে কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ারও কোনও বিষয় নেই। যদি বিরোধীরা আলোচনা চান, তাহলে যে কোনও আইন আসার আগে ও পরে সংসদে আলোচনা হয়।’

একইসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘বিরোধীরা তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে ভোটব্যাঙ্ককে একত্রিত করতে চাইছে। আমি বিনীতভাবে বলছি, আপনারা এমনটা করবেন না, মানুষ জেনে গিয়েছে যে সিএএ এই দেশের আইন। ৪ বছরে কমপক্ষে ৪১ বার বলেছি যে এটা হবে এবং ভোটের আগেই হবে। সিএএ কখনওই প্রত্যাহার হবে না। ভারতের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করা ভারতের বিষয়।’

সিএএ কখনওই প্রত্যাহার হবে না। ভারতের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করা ভারতের বিষয়।

অমিত শাহ

অমিত শাহর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, ‘সিএএ-এর সঙ্গে এনআরসি-র যোগসূত্র অমিত শাহ নিজেই আগে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি জনসভায় বলেছিলেন, ক্রোনোলজি বুঝে নিন, প্রথমে সিএএ আসবে, তারপর পিছনে পিছনে এনআরসি আসবে, এনআরসি হবে। এই যোগসূত্র তো তিনি নিজেই বলেছিলেন। তাহলে আজ কেন বলছেন যোগসূত্র নেই? ২০১৯-এ আইন পাশের পরে কেন ৫ বছর লাগল রুল ফ্রেম করতে? আসলে রাজনীতিটা করছেন অমিত শাহ ও তাঁর সঙ্গে বিজেপি। আর সেই মুখোশটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুলে দিয়েছেন।’
Amit Shah News : সিএএ-তে কেন নেই মুসলিমরা? জবাবে কংগ্রেসকে বিঁধলেন শাহ, পালটা নিশানা হাত শিবিরেরও

প্রসঙ্গত, সিএএ নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজ্যে কোনওভাবেই সিএএ লাগু করতে দেওয়া হবে না বলে ইতিমধ্যেই বারেবারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র যোগ রয়েছে বলেও দাবি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সিএএ হলে মানুষ সম্পত্তির অধিকার হারিয়ে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। আর সেই কারণে সাধারণ মানুষকে সিএএ-র পোর্টালে আবেদন না করারও পরামর্শও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *