তবে এক্ষেত্রে হাইকোর্ট শর্ত বেঁধে দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে। এক লাইনে মিছিল করতে হবে। যাত্রাপথে কোনও অংশে মিছিল দাঁড় করানো যাবে না। ট্রাফিকের সমস্যা যাতে না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। যেহেতু কর্ম দিবসে এই মিছিল হচ্ছে তাই ন্যূনতম সদস্য নিয়েই এই মিছিল করতে হবে। প্রশাসনের অন্যান্য শর্ত মেনে মিছিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার আবেদনকারীদের রুটেই মিছিলের অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া DA-র দাবিতে এদিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাওড়া রেল মিউজিয়ামের সামনে জমায়েত এবং দুপুর ১টায় নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে ধরনা কর্মসূচি নেওয়া হয়। যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য।
বুধবারই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই মামলাটি ওঠার কথা ছিল। কিন্তু, সরকার তরফের আইজীবীরা উপস্থিত থাকলেও মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবীরা না থাকায় এই দিন বক্তব্য শোনা হয়নি। বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে এই মিছিল করার আবেদন জানানো হয়েছিল সরকারি কর্মচারি সংগঠনের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, বড়দিনের আগে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য চার শতাংশ DA ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেটেও সরকারি কর্মীদের জন্য আরও চার শতাংশ DA-র ঘোষণা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই DA হাতে পাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে সরব হয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একটি অংশ।