উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই শনিবার শিলিগুড়িতে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সভাতেও মোদীকে বলতে শোনা যায়, পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে কাজ চলছে। স্থায়ী সমাধান প্রক্রিয়ার ‘খুব কাছে চলে এসেছি আমরা’ বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি। এদিকে, বিধায়ক জিম্বা জানিয়েছেন, বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে তাঁরা একটি ‘একটি নির্দিষ্ট এবং দ্ব্যর্থহীন’ সংজ্ঞা চায়।
উল্লেখ্য, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১১টি পাহাড়ী সম্প্রদায়কে উপজাতীয় মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পাশাপাশি জানিয়েছিল যে তারা দার্জিলিং পাহাড়, শিলিগুড়ি, তরাই এবং ডুয়ার্সের অধিবাসীদের জন্য ‘একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান’ খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও, পার্মানেন্ট পলিটিক্যাল সলিউশন বলতে ‘গোর্খাল্যান্ড’ রাজ্যের কথা বলা হলেও বিজেপির তরফে পৃথক গোর্খাল্যান্ড তৈরির বিষয়ে নির্দিষ্ট করে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
কিছুদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রক্ত দিয়ে চিঠি লেখার কথা জানান নিরজ জিম্বা। তিনি অকপটে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ে স্থায়ী সমস্যা সমাধানের কথা বলা হলেও বিজেপির তরফে এখনও সেরকম কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করলেও কোনও কাজ হয়নি। তবে পাহাড় থেকে এবারেও বিজেপি প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।