Information And Culture Office,‘কর্তব্যে গাফিলতি’-র অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সাসপেন্ড সরকারি কর্তা – wbics officer suspended for showing lack of integrity to his duties


জল্পনা ছিল, নির্দেশ ছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অবশেষে সাসপেন্ড করা হল শিলিগুড়ি মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিককে। পদ মর্যাদায় তিনি অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর। বৃহস্পতিবারই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা বার করে নবান্ন। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কোনও কর্তার ক্ষেত্রে এত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া কিছুটা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালের একটা অংশ। যদিও ওই কর্তা বুধবারই ‘এই সময় ডিজিটাল’-কে বলেছেন, ‘অর্ডার হাতে না পেয়ে কিছু বলতে পারব না।’প্রসঙ্গত, বুধবার শিলিগুড়িতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সকালে সাংবাদিক বৈঠক করবেন, এমন একটি খবর তথ্য সংস্কৃতি দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল। সেখান থেকেই মূলত বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ঘটনা জানার পরেই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে। বৃহস্পতিবার সাসপেনশন সংক্রান্ত নোটিশ বার হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কর্তব্যের প্রতি যথাযথ সততা দেখাননি তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি জানি না। আমার সিকিউরিটি জানে না যে প্রেস মিট আছে। এভাবে সাংবাদিকদের ডেকে আনা কেন? আপনারা তো জানেন, আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। কথা হচ্ছে আমাদের জীবনের সবচেয়ে দামি। আজকের প্রোগ্রামটাই ছোট, আজকে বেশি গ্যাদারিং করতে চাইনি। সেখানেই তিনি সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। এদিনের নির্দেশিকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এসডিআইসিও কে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

‘আমাকে না জানিয়ে এই মেসেজটা কে দেবে?’

মুখ্যমন্ত্রী

যদিও দফতর জুড়ে কানাঘুষো, ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সাংবাদিকদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে এই মেসেজ পাঠিয়েছিলেন ওই কর্তা। সেক্ষেত্রে কেন শাস্তির খাঁড়া শুধু তাঁর উপর নেমে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কোনও কোনও মহলে। তবে ঘটনায় এটা পরিষ্কার, নবান্নের কর্তারাও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই কর্তা খড়গপুর, আলিপুরদুয়ারের মতো কয়েকটি জেলায় সুনামের সঙ্গেই কাজ করেছেন। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট, সরকারি কর্মীদের কাজে কোনওরকম গাফিলতি ভালো ভাবে নেওয়া হচ্ছে না।

তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর জেলায় সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন, মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কাজের প্রচার, খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন, লোকপ্রসার প্রকল্পের পোর্টাল, জয়বাংলা পোর্টালের মতো একাধিক কাজ দেখে। জেলায় থাকা বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্নভাবে যোগাযাগ রেখে কাজ করাই জেলায় থাকা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কাজ। পাশাপাশি লোকশিল্প প্রসারেও আধিকারিকদের বড় ভূমিকা থাকে। শুধু শিল্পীদের নাম নথিবদ্ধ করা নয়, তাঁদের কাজ তুলেও ধরেন তাঁরা। অফিস এস্টাব্লিশমেন্ট সংক্রান্ত কাজ থেকে সাংবাদিকদের Accredidation Card ইস্যু করা, VIP ভিজিটের সময় মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সহ আরও একাধিক কাজ তাঁদের করতে হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *