কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ মার্চ আন্তর্জাতিক নামজাদা একটি প্রযুক্তি সংস্থা ক্যাম্পাসিং করেছিল। সেখানেই যোগদান করেছিল চলতি বছর ও গত বছর স্নাতক হওয়া কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগের কয়েকশো পড়ুয়া। একদিনের সেই ক্যাম্পাসিংয়ে মোট ৩২ জন ছাত্র-ছাত্রীর চাকরি হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাধারণ ডিগ্রি কলেজে ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে চাকরির নজির সে ভাবে নেই বললেই চলে। আমরা কলেজের প্রতি পড়ুয়াদের আকৃষ্ট করার কথা ভাবছিলাম। সেই থেকেই রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘উৎকর্ষ বাংলা’র সঙ্গে যোগাযোগ করতেই ওঁরা ওই কোম্পানিকে বিষয়টি জানান। এরপর গত ১০ মার্চ সেই ক্যাম্পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়।’ আগামী দিনে আরও ক্যাম্পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
এ দিন কলেজে এসেছিলেন কলা বিভাগ থেকে স্নাতক হওয়া সুদীপ্ত রায়। তিনি বলেন, ‘চাকরিতে যোগ দিয়েছি। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ক্যাম্পাসিং হয় বলে জানতাম। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ যে ভাবে আমাদের কথা বিবেচনা করে ক্যাম্পাসিং করিয়েছে তাতে আমরা আপ্লুত।’
সঙ্গীতা কর্মকার নামে এক ছাত্রীর কথায়, ‘আমরা সাধারণ ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরেই ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে চাকরি পাই। কলেজ ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান অনস্বীকার্য।’