শুধু তাই নয়, ফলন কম হয়েছে বলে মনে করে শুরুতেই আলুর বন্ডের চড়া দর পরে চাষিদের বিপদে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অভিজ্ঞ মহল। শুধু চাষিরা নন, চাকুরিজীবী কিছু মানুষ যাঁরা গত দু’বছর হিমঘরে আলু রাখেননি, তাঁরাও এবার আলুর বন্ডের চড়া দাম দেখে লগ্নি করেছেন। সেই কারণেই আলুর বন্ডের দাম চড়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজ্যের অন্যতম আলু উৎপাদক জেলা পূর্ব বর্ধমান। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার জেলায় ৬৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে, যা গতবারের থেকে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর মতো কম। জেলায় এখনও ৫০ শতাংশের মতো আলু তোলা হয়েছে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
কালনার রানিবন্ধের আলুচাষি সুমন মণ্ডল বলেন, ‘১৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছিলাম। সোমবার মাঠে বস্তা (৫০ কেজি) পিছু ৭০০ টাকা দর পেলেও ফলন বেশ কম। অন্যবার যেখানে বিঘেতে একশো বস্তার মতো আলু মেলে এবার সেখানে মিলেছে ৫০-৬০ বস্তার মতো। চাষের শুরুতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফের আলু বসাতে হওয়ায় খরচ বেড়েছে। বিঘে প্রতি ১০ হাজার টাকার মতো ক্ষতির মুখে পড়েছি।’
একই কথা বলেন বাঘনাপাড়ার আলুচাষি বাপি মণ্ডল, আসরাফুল শেখরাও। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সভাপতি বিভাস দে বলেন, ‘আলুচাষের শুরুতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়েছিল চাষ। তবে চাষ যেটুকু অক্ষত ছিল তার ফলন ভালো হয়েছে।’