Shiksha Bandhu Salary,মিলবে ১০ মাসের বকেয়া, একলাফে ৪০% বেতন বৃদ্ধি শিক্ষাবন্ধুদের, ঘোষণা মন্ত্রীর – shiksha bandhu salary hike and arrears will be given by west bengal government details is here


২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত শিক্ষাবন্ধুদের টাকা দিতে চলেছে রাজ্য। বুধবার রাজ্যের মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য় সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মানস ভ্যুঁইয়া এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘যে তিন হাজার ৩৩৭ জন শিক্ষাবন্ধুর টাকা বাকি ছিল তাঁদের তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জন্য মোট ৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে।’

ঠিক কী বলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী?

বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের মার্চ মাসে শিক্ষাবন্ধুদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু, তা চালু হয় ২০১৯ সালে। সেই এরিয়ার টাকা এবার সরকার মিটিয়ে দেবে। এপ্রিল মাস থেকেই তা পাওয়া যাবে। রাজ্য সংশ্লিষ্ট খাতে ৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে।’

প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই মুহূর্তে কর্মরত শিক্ষাবন্ধুর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৭ জন। তাঁদের বেতন ছিল ৫ হাজার ৯৫৪ টাকা এবং তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮ হাজার ৩৩৫ টাকা। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এবার থেকে শিক্ষাবন্ধুরা মাসে বেতন বাবদ ৮ হাজার ৩৩৫ টাকা পাবেন।’

উল্লেখ্য, সর্বশিক্ষা মিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলেন শিক্ষাবন্ধুরা। তাঁরা সার্কেলস্তরে স্কুল ইন্সপেক্টরের অফিসগুলিতে কাজ করেন। এক্ষেত্রে স্কুলের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা, স্কুল ব্যাগ সহ ইত্যাদির তথ্য তাঁরা নজরে রাখেন। মূলত স্কুলগুলির সঙ্গে সমন্বয় করা তাঁদের কাজ।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ রাজ‌্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মঞ্চের তরফে মানস ভ্যুঁইয়া বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা মানুষকে দেন তা তিনি পূরণ করেন। রাজ্যের ICDS কর্মীদের , অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করার মতো সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। দুইটি ধাপে সরকারি কর্মীদের DA শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়ে কথা রাখেন। কিন্তু, যা যা প্রতিশ্রুতি মোদী দিয়েছিলেন তা কোনওটাই পূরণ করেননি। এতেই বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানে গ্যারান্টি। তিনি যা বলেন তা করেন। মোদীর গ্যারান্টি মানে ভুয়ো গ্য়ারান্টি।’

চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় পদক্ষেপ রাজ্যের, প্রায় ডাবল অবসরকালীন অনুদান

রাজ্যের সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে একগুচ্ছ ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সরকার নিয়োগের জন্য সদর্থক মনোভাব দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে একাধিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুলিশ, দমকলে শূন্যপদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *