স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্যে খুশির ঢেউ। এর আগে একাধিক মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবিক বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে সরকারি কর্মীরা পরিবারের মতো। তাঁদের সুবিধার জন্য যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি পরিষেবা পেতে যাতে মানুষের কোনও অসুবিধা না হয় সেই দিক খেয়াল রাখতে হবে সরকারি কর্মীদের, সেই বার্তাও দেন তিনি।
গত বছর বড়দিনের সময় তিনি রাজ্যের সরকারি কর্মীদের DA চার শতাংশ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন। অন্যদিকে, বাজেটেও DA-র পরিমাণ আরও চার শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। আর এই DA ইতিমধ্যেই হাতে পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। এবার অ্যাডহক বোনাস নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। স্বাভাবিকভাবেই সরকারি কর্মীদের মধ্যে খুশির ঢেউ।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে রাজ্যের হাজার হাজার কর্মীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল অ্যাডহক বোনাস। সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, শিলিগুড়ি মহকুমা পর্ষদ, জিটিএ এবং ডিআরডিসি-তে কর্মরত মুসলিম কর্মীরা মাথাপিছু ৫ হাজার ৩০০ টাকা করে অ্যাডহক বোনাস পেয়ে থাকেন। এর আগে এই বোনাসের অঙ্ক ছিল ৪ হাজার ৮০০। তারপর তা ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়।
অর্থ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ২০০২ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বোনাস হিসেবে ১০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদে মহাকরণে বিক্ষোভও দেখানো হয়।
বাম জমানা শেষের আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অ্যাড হক বোনাস ছিল ২ হাজার টাকা। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা বাড়িয়ে প্রথমে ২ হাজার ১০০ টাকা করা হয়। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪ হাজার ৮০০। পরে হয় ৫ হাজার ৩০০।