এই সময়, হলদিয়া: শোলের ‘বীরু’র মতোই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ৮০ ফুট উঁচু জলের ট্যাঙ্কের উপরে উঠে পড়েছিলেন যুবক। ‘সুসাইড…’-এর হুমকি না-দিলেও রাত্তিরবেলা ট্যাঙ্কের উপরে তাঁর নেত্য দেখে আঁতকে ওঠেন পাড়ার লোকেরা। অবশ্য ‘বসন্তী’ নয়, তাঁর দাবি ছিল হরেক কিসিমের নেশাদ্রব্য। বসন্তীর ‘মসি’র মতো কাউকে ভিলেন বানাননি তিনি। তবে মাসির বাড়ি থুড়ি মামার বাড়ি আবদার করতে থাকেন, তাঁকে নেশা করার সামান এনে দিতে হবে। নিজের কষ্টের কথা ‘গাঁও-ওয়ালো’ থুড়ি পাড়ার লোকের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া এলাকার গান্ধীনগরের ঘটনা। ফলে রাতবিরেতে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাকে অনায়াসে জটায়ুর অনুকরণে হলদিয়ায় হট্টগোল বলাই যেতে পারে! হলদিয়া পুরসভার একটি উঁচু ওয়াটার রিজার্ভার ট্যাঙ্ক রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সিঁড়ি বেয়ে তাতে উঠে পড়েন যুবক। নাম শেখ মিরাজ। পাকা নেশাড়ু বলে এলাকায় পরিচিত তিনি। হলদিয়ারই ভবানীপুরের বাসিন্দা ওই যুবক মদ-গাঁজা-ডেনড্রাইট থেকে শুরু করে নানা রকমের নেশায় অভ্যস্ত। রাতের বেলা তাঁকে সেখানে উঠে নাচতে দেখে ছুটে আসেন পাড়ার বাসিন্দারা। আসেন স্থানীয় হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার আজিজুল রহমানও।
খবর পেয়ে কিছু সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় ভাবানীপুর থানার পুলিশ। অনেক অনুরোধের পরও যুবকটি না-নামায় খবর দেওয়া হয় দমকলকে। পরিস্থিতি দেখে দমকলের কর্মীরা ভয় পাচ্ছিলেন যে, জোর করে নামাতে গেলে যদি যুবক লাফ দেন, তবে হিতে-বিপরীত হবে। সেই ভয়ে তাঁরা উপরে উঠলেও প্রথমেই নামানোর চেষ্টা না করে বোঝাতে শুরু করেন। কিন্তু যুবক বুঝতে নারাজ। তাঁর একটাই দাবি, এনে দিতে হবে মদ-গাঁজা। অবশেষে ঘণ্টা দেড়েকের টানাপড়েনের পরে রাত ১২টা নাগাদ তাঁকে জলের ট্যাঙ্ক থেকে নামাতে সফল হন দমকলকর্মীরা।
খবর পেয়ে কিছু সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় ভাবানীপুর থানার পুলিশ। অনেক অনুরোধের পরও যুবকটি না-নামায় খবর দেওয়া হয় দমকলকে। পরিস্থিতি দেখে দমকলের কর্মীরা ভয় পাচ্ছিলেন যে, জোর করে নামাতে গেলে যদি যুবক লাফ দেন, তবে হিতে-বিপরীত হবে। সেই ভয়ে তাঁরা উপরে উঠলেও প্রথমেই নামানোর চেষ্টা না করে বোঝাতে শুরু করেন। কিন্তু যুবক বুঝতে নারাজ। তাঁর একটাই দাবি, এনে দিতে হবে মদ-গাঁজা। অবশেষে ঘণ্টা দেড়েকের টানাপড়েনের পরে রাত ১২টা নাগাদ তাঁকে জলের ট্যাঙ্ক থেকে নামাতে সফল হন দমকলকর্মীরা।
প্রাক্তন কাউন্সিলার ও স্থানীর বাসিন্দা আজিজুল বলেন, ‘মিরাজের মতো এলাকার কিছু নেশাখোর ছেলে আছে। এরা নিজে নেশা করার পাশাপাশি স্থানীয় কলেজ হস্টেলগুলিতে নেশার দ্রব্য বিক্রি করে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ ‘শোলে’ সিনেমায় ‘মসি’কে জেলে গিয়ে ‘চাক্কি পিসিং অ্যান্ড পিসিং’-এর ভয় দেখিয়েছিল ‘বীরু’। হলদিয়ার শেখ মিরাজকে জলের ট্যাঙ্ক থেকে নামানোর পরে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ!