রথীন চক্রবর্তী পেশায় একজন চিকিৎসক। প্রতিদিন হাওড়া থেকে কলকাতার নিজস্ব চেম্বারে যান। যদিও শুক্রবার মেট্রো চালু হওয়াতে গাড়ি ব্যবহার না করে মেট্রোকেই তিনি বেছে নেন যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে। পাশপাশি মেট্রোর বাইরে ও ভিতরে উপস্থিত যাত্রীদের প্রতি বিজেপিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জয়ী করার আবেদন জানান। হাওড়া ময়দান মেট্রো চালু হওয়ার কারণে ভোর থেকে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন মেট্রোর গেটের সামনে।
নির্ধারিত সময়ে গেট খুললে প্রথমবারের জন্য মেট্রো ছাপার জন্যই উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘আজকের এই দিনটি এক ঐতিহাসিক দিন। আমরা গর্বিত নরেন্দ্র মোদী এটা সকলের জন্য করেছেন। আমাদের কাছে কোনও বাধাই বাধা নয়। আমরা নরেন্দ্র মোদীর গর্বিত সৈনিক।’ পাশপাশি উপস্থিত বিজেপি নেতা উমেশ রাই দাবি জানান, দেশের মধ্যে কলকাতাতেই প্রথম মেট্রোর সূচনা হয়েছিল। এরপর অনেক সরকার এসেছে, বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদিও নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়েই প্রথম গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো চালু হল। মোদি যেটা বলেন সেটাই করে দেখান, এটাই ‘মোদীর গ্যারান্টি।’
আজকে গঙ্গার নীচ দিয়ে এই মেট্রো চালু হওয়ায় ভোর রাত থেকেই এদিন যাত্রীরা মেট্রোর গেটের সামনে এসে জড়ো হন। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে কলকাতা ও হাওড়ার বহু মানুষের মধ্যে আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। থিকথিকে ভিড় ছিল গোটা মেট্রো স্টেশন চত্বরে। সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর সুযোগ হাতছাড়া করলেন না বিজেপি প্রার্থী। প্রার্থীকে সামনে পেয়ে কুশল বিনিময় করলেন অনেকে। সব মিলিয়ে গঙ্গার নীচে প্রথম মেট্রো যাত্রা সাক্ষী থাকল অনেক কিছুর।
