Mangalkot Police,পুলিশ অফিসারকে ‘দাদা’ বলে ডাকায় বেজায় গোঁসা! শিক্ষককে চড় মারার অভিযোগ – mangalkot police slapped the school teacher locals protest


এই সময়, কাটোয়া: পুলিশ অফিসারকে দাদা বলে ডাকায় বেজায় গোঁসা হয় তাঁর। আর তাতেই এক শিক্ষককে চড় মেরে বসলেন ওই এএসআই। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোটের নিগন চটি এলাকায়। কৈচর ফাঁড়ির ওই পুলিশকর্মীর এই আচরণে রীতিমতো ক্ষোভ ছড়ায় এলাকায়। শিক্ষকেরা তো বটেই, পুলিশের এই ঔদ্ধত্য দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রাও। রাস্তা জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।মঙ্গলকোট থানার আইসি ও বিধায়ক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁদের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এ নিয়ে মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়া চরম অন্যায়। এটা কোনও ভাবে সমর্থন করা যায় না। তবে বিষয়টি শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে মিটে গিয়েছে৷’

প্রশ্ন উঠেছে, শিক্ষক যদি উল্টে পুলিশকে চড় মারতেন তাহলে কি ‘বিষয়টি’ মিটে যেত বা বিধায়ক কি মেটাতে পারতেন? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের কৃষ্ণবাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা ও ছয় জন শিক্ষক বলগোনা থেকে গাড়িতে প্রতিদিন স্কুলে আসেন। এদিনও তাঁরা ওই গাড়িতেই স্কুলে আসছিলেন। নিগন চটি বাস স্ট্যান্ডে এসে তাঁরা রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করান টিফিন কেনার জন্য।

সেখানে তখন ডিউটি করছিলেন ওই ‘গুণধর’ পুলিশকর্মী৷ তিনি শিক্ষকদের গাড়ি সরিয়ে নিতে বলেন। গোল বাঁধে যখন এক শিক্ষক ওই পুলিশকে বলেন, ‘দাদা এখনই গাড়ি সরাচ্ছি।’ অভিযোগ, এর পরেই ওই পুলিশকর্মী রেগে যান। রাগ সামলাতে না পেরে শিক্ষককের গালে চড়ও মেরে বসেন৷

বিজেপির সভা থেকে পুলিশের গাড়িতে হামলা, আহত এসডিপিও

এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও উত্তেজিত হয়ে পড়েন৷ তাঁরা ছুটে এসে ওই পুলিশকর্মীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্কুলের ওই শিক্ষক বলেন, ‘আমি পরোটা কিনছিলাম। ওই অফিসারকে নিজের পরিচয় দিয়েই বলেছিলাম, দাদা গাড়ি এখনই সরিয়ে নিচ্ছি৷ কিন্তু দাদা বলেছি বলে ওই অফিসার আমাকে চড় মারলেন৷’

সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এটা পুলিশের ‘জমিদারি সুলভ আচরণের’ ফল। এই ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে থানার আইসি নাকি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন৷



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *