দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনে দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। আজ শনিবার, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার আগেই বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ছড়াল চাঞ্চল্য। নগদ ৫০ লাখ টাকা সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল আরপিএফ। লোকসভা নির্বাচনের আগে এত পরিমাণ টাকা নিয়ে ওই ব্যক্তি কোথা যাচ্ছিলেন, বা কোথা থেকে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা আনা হচ্ছিল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।জানা গিয়েছে, গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেসে ঝাঁঝা থেকে হাওড়ার পথে আসছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর কাছে একটা ট্রলি ব্যাগ দেখে, তাতে কী রয়েছে তা জানতে চান আরপিএফ কর্মীরা। তবে কোনওরকম সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। সন্দেহ হওয়ায় ওই ব্যক্তিতে আটক করেন আরপিএফ আধিকারিকরা। এরপর তাঁর ব্যগটি খোলা হয়। ব্যগ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ আরপিএফ কর্মীদের। ব্যাগের মধ্যে রাখা ছিল বান্ডিল বান্ডিল টাকা। গুনে দেখা যায় সেখানে রয়েছে মোট ৫০ লাখ টাকা। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ওই টাকার উৎসের কোনও সঠিক তথ্য না মেলায় আযকর বিভাগের আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়।
আরপিএফ সূত্র খবর, ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে ওই ব্যাগ হাওড়ার পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু ওই ব্যাগে যে এত পরিমাণ টাকা ছিল তা জানতেন না তিনি। লোকসভা ভোটের আগে এত পরিমাণ টাকা ওই ব্যক্তি কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন, বা কে বা কারা তাঁকে ওই টাকা দিয়েছেন, সেই সমস্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরপিএফ সূত্র খবর, ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে ওই ব্যাগ হাওড়ার পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু ওই ব্যাগে যে এত পরিমাণ টাকা ছিল তা জানতেন না তিনি। লোকসভা ভোটের আগে এত পরিমাণ টাকা ওই ব্যক্তি কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন, বা কে বা কারা তাঁকে ওই টাকা দিয়েছেন, সেই সমস্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে কলকাতার বড়বাজার, বৌবাজার এবং পোস্তা অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৫৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা সৌরভ সিংহের বাড়ি থেকে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার, বউবাজারের বাসিন্দা প্রদীপ সিংহের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও শুক্রবার পোস্তার বাসিন্দা চন্দ্রমোহন ঠাকুরের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেব কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। ওই টাকার উৎসের বিষয়ে কোনও বৈধ নথি দেখাতে না-পারায় ৩ জনকেই গ্রেফতার করেছ পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তিদের কাছে এত পরিমাণ টাকা কী ভাবে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি আয়কর দফতর ও নির্বাচন কমিশনকেও জানানো হয়েছে বলে খবর। ওই টাকা ভোটের কাজে ব্যবহার করা হত কি না, সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।