একহাতে চায়ের কেটলি, অন্য হাতে বিস্কুট ও জলের বোতল নিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় ঘুরে পরীক্ষা চলাকালীন বসে থাকা অভিভাবকদের চা পান করাচ্ছেন তিনি। চা বিক্রিতেও রয়েছে অভিনবত্ব। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য নিজের ইউএসপি হিসেবে তুলে ধরছেন গ্রাজুয়েট শিক্ষিত স্মার্ট চা ওয়ালা
হিসেবে দাবি করা এই যুবক। শুধু তাই নয়, ক্রেতাদের সঙ্গে মশকরা করে কখনও চায়ের দাম হাঁকাচ্ছেন দশ হাজার টাকা। আবার কখনও ২৫ হাজার টাকার উপরেও। কাঁচরাপাড়া কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়র সামনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বহু মানুষের কাছে এখন স্মার্ট চা ওয়ালা হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন দেবাশিস।
এই স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট চা ওয়ালা জানাচ্ছেন, এভাবে আর কতদিনইবা চা বিক্রি করতে পারবেন তিনি! বর্তমানে পরীক্ষা চলছে তাই দিনে প্রায় বিক্রি হচ্ছে ১৬-১৭ লিটার চা। আপাতত ২০০০ টাকা করে দৈনিক লাভ হচ্ছে তাঁর। কিন্তু, পরীক্ষা শেষ হলে কোথায় তিনি চা বিক্রি করবেন? স্থানীয় বিধায়ক ও পুরপ্রধানের কাছে কাঁচরাপাড়া স্টেশন সংলগ্ন কোনও একটি জায়গায় তাঁকে জায়গা দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষিত চাওয়ালা দেবাশিস।
তিনি দাবি করেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর ভরসা। বেসরকারি সংস্থায় কাজ করলেও লকডাউন পরবর্তী সময়ে পেশা বদলেছেন তিনি। তবে নেহাতই খেয়াল বসে এমন অভিনব উপায়ে চা বিক্রির ভাবনা মাথায় আসে তাঁর। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী সন্তান সহ পরিবার। তাঁর সঙ্গে অনেকেই এখন তুলছেন সেলফি। আর এতেই যেন বাড়তি উৎসাহ পাচ্ছেন গ্রাজুয়েট শিক্ষিত স্মার্ট চা বিক্রেতা দেবাশিস। চার চাকা গাড়ি, গলায় সোনার চেন এবং হাতে আই ফোন নিয়ে চা বিক্রি করতে এর আগে বাংলায় কাউকে কোথাও দেখা যায়নি।